শনিবার , ১৮ জুলাই ২০১৫ | ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলাম
  7. এক্সক্লুসিভ
  8. কক্সবাজার
  9. করোনাভাইরাস
  10. খেলাধুলা
  11. জাতীয়
  12. জেলা-উপজেলা
  13. পর্যটন
  14. প্রবাস
  15. বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি

প্রবাসীদের ঈদ ও ভাবনা

প্রতিবেদক
কক্সবাজার আলো
জুলাই ১৮, ২০১৫ ১০:০৩ অপরাহ্ণ

মুহাম্মদ শাহ জাহান, কক্সবাজার আলো ডটকম :
প্রতি বছরের ন্যায় ঘুরে ফিরে এবারও মুসলিম উম্মার জন্য আনন্দ ও খুশির বার্তা নিয়ে এল পবিত্র ঈদ উল ফিতর।ছোট-বড়,ফকির-মিস্কিন, ধনী-গরীব এবং কুড়ে ঘর থেকে রাজপ্রসাদ পর্যন্ত সবার জন্য আসে এ ঈদ। সবাই যার যার সাধ্য মত করে পালন করতে চেষ্টা করে এই খুশীর ঈদ।কিন্তু ক জনের ভাগ্যে জুটে এ ঈদে আনন্দ ও খুশি পরিপূর্ণতায়  রূপ দিতে।গত বছর ঈদের দিনের এ সময়ে যে শিশুটি বাবার হাত ধরে আত্নীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল আজকে যখন এই দিনে  শিশুটির  বাবা পাশে নেই , এ জগঠ ছেড়ে চির দিনের জন্য না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছে তাহলে সেই ঈদের দিন আর আজকের দিন তার কাছে আকাশ সমান পরখ পড়বে।এ ভাবে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলির বর্বর বোমা হামলায় যারা উদাস্তূ হলো, এক দিকে সারা বিশ্বের মুসলমান ইফতারী হাতে নিয়ে বসে আছে অপর দিকে ফিলিস্তিনের বাবা মায়েরা ঠিক সে সময়ে সন্তানের লাশ কোলে ঘর ছাড়া কোলা আকাশের নিছে আহাজারী করছে।ঈদের এ মুহুর্তে মনে পড়ে আমার মাতৃ-ভূমির গত বছর ২৮শে ফেব্রুয়ারীর হত্যা কান্ডে যাদের বাবা ভাই হারিয়েছেন,নারায়নগঞ্জের সেভেন মার্ডারে যারা মারা গেছেন ও রানা প্লাজায় হতাহত পরিবার পরিজনদের ঈদ কি সত্যি আনন্দ বয়ে আনবে?পাশের বাড়ির সবাই ঈদে যাওয়ার সাজগুজ আর রকমারী পোশাকের বাহার কিন্তু যার বাবা,ভাই বছরের পর বছর ধরে জালেমের বন্দি কারাগারে তারা কোন রকমে সেই কারাবন্দিকে দেখতে করছে তৈয়ারী হয়ত বা তাদের সাথে ঈদ সামগ্রির পরিবর্তে এক টিফিন বক্সও জুটবে না। অপর দিকে জন্ম-ভূমি থেকে হাজার-হাজার মাইল দূরে আমরা যারা পরিবার-পরিজন ছেড়ে তাদের সুখ ও শান্তির জন্য বছরের পর বছর ধরে প্রবাস জীবন-যাপন করছি তারাও তেমন একটা ব্যতিক্রম নয় ।পূর্ণ একটি মাস রোজা রাখার পর যখন আসে ঈদ আর এ ঈদের আনন্দ কে  ভাগাভাগি করার চেষ্টা করে সবাই।যখন ঈদের নামাজ শেষ হয়ে যায় তখন হয়ত কেউ ঘুমিয়ে পড়ে ,কেউ দেশীয় টিভি চ্যানেলে ঈদের অনুষ্টান ও নাটক দেখে আবার কেউ মোবাইলটি হাতে নিয়ে আর দেরী না করে স্বদেশে পরিবার-পরিজন ও প্রিয়জনদের সাথে আলাপচারিতায় মগ্ন হয়ে।দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রম বাজার মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাত। বৈধ অবৈধ সব মিলিয়ে প্রায় আটার লাখের মত শ্রমিক,কর্মচারী সহ সব ধরণের পেশাজীবির মানুষ এ খানে যুগেরে পর যুগ ধরে বাস করে আসছে।তবে প্রায় দীর্ঘ দু বছরের অধিক ধরে নতুন ভিসা বন্ধ ও স্থানান্তর করে নবায়নের সুযোগ না থাকায় ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে এ সংখ্যা এবং দ্রুত গতিতে হ্রাস পাচ্ছে রেমিটেন্স যা দেশের অর্থনীটিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে কোন ধরণের সহযোগিতা না দেখালেও প্রবাসি ভাইদের কর্ম দক্ষতা ও নিজ যোগ্যতা দিয়ে এ শুণ্যতা পূরণে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ঈদের এ আনন্দ ঘন পরিবেশ সবার সাথে শেয়ার করে বাঙ্গালী কমিউনিটিতে ।কিন্তু ভিসা সংক্রান্ত সমস্যার গ্লানি থেকে কখন তারা বেরিয়ে আসতে পারবে এটাই প্রশ্ন তাদের।  যায় বুঝাতে চেষ্টা করে সংগৃহিত কবিতার মত করে -প্রবাস মানে  টাকা নয়, জীবন গড়ার শিক্ষা, প্রবাস মানে উল্লাস নয়, অনুপম এক দীক্ষা।প্রবাস মানে হাসি নয়,কষ্ট চোখে জল, প্রবাস মানে ভাংগা বুকে জীবন গড়ার বল। প্রবাস মানে প্রিয়তমার একটি রঙ্গিন চিঠি, প্রবাস হলো মানুষের প্রতি ভালোবার সম্প্রীতি। প্রবাস হলো স্বপ্ন পূরণ ছোট ছোট আশা, প্রবাস হলো ভাইয়ের হাসি ,বোনের ভালবাসা, প্রবাস হলো বাবার বুকে সুখের শিহরন, প্রবাস হলো মায়ের মুখে হাসির আবরিন।প্রবাস মানে স্বাধীনতা পরের হাতে বন্ধি প্রবাস মানে কাজের সাথে জীবনের সন্ধি।প্রবাস মানে শুন্যতা প্রতি দিনই আসে, প্রবাস মানে অতীত স্মৃতি শুধুই চোখে ভাসে। প্রবাস মানে জীবন থেকে অনেক হারিয়ে যাওয়া, প্রবাস মানে আপন স্বজন হয়তো হবেনা পাওয়া। প্রবাস মানে দেশান্তরী মমতা জেড়ে পেলা, প্রবাস মানে ব্যর্থ জীবন শুধুই টাকার খেলা।

সর্বশেষ - কক্সবাজার

https://coxsbazaralo.com/