এম.এ.সাবলু হৃদয় সিলেট অফিস : ভারতীয় পণ্যে সয়লাভ সিলেটের ঈদ বাজার। প্রতিটি মার্কেটেই ভারতীয় পণ্যের আধিক্য। অভিজাত বিপনী বিতান,শপিং সেন্টার ও ফ্যাশন হাউসগুলোতে দেশীয় পোশাকের ৩০ ভাগ ও উপস্থিতি নেই। ভারতীয় পণ্যের যাঁতাকলে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী সকল পোশাক। খোদ ব্যবসায়ীরা বলেছেন,ঈদকে সামনে রেখে বৈধ অবৈধ পথে বানের পানির মতো আসছে ভারতীয় পণ্যে। জানা গেছে,অন্যান্য বারের চেয়ে এবছর সিলেটে দ্বিগুন হারে আসছে ভারতীয় পোশাক। সীমান্তের কাষ্টমসকে ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পথে স্রোতের মতো পোশাক আমদানী করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। ৫০ ভাগ পোষাকেই আসছে সংশিষ্ঠদের চোখ ফাঁকি দিয়ে। সীমান্তবর্তী হওয়ায় দেশের অন্যান্য। অঞ্চলের চেয়ে সিলেট হয়ে উঠেছে ভারতীয় পণ্যের স্বর্গরাজ্য। ঈদের সময় আসার সাথে সাথে সীমান্তের চোরাচালান চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে। এবার ও এর ব্যতিক্রম নয়। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সাথে সিলেটের এজেন্টরা প্রতিদিন কোটিকোটি টাকার কাপড় আনছে সিলেটের বাজারে। ব্যবসায়ী সংশিষ্টরা বলছেন,সীমান্তে নজরদারীর অভাব ও প্রয়োজনীয় মনিটরিং না থাকায় চোরাচালান চক্র বেপরোয়া কর্মকান্ড চালাচ্ছে।
সিলেট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় অভিনেতা অভিনেত্রী ও সিরিয়ালের নামে শাড়ী ও থ্রিপিছে ভরপুর ছোট বড় মার্কেটগুলো। বিশেষ করে ফ্যাশন হাউসগুলো ও অভিজাত বিপনি বিতানে এসবের সমাহার চোখে পড়ার মতো। এবার ঈদে পোশাকের ক্ষেত্রে অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে ভারতীয় সিরিয়ালের নামে নামকরণ পোশাক কিরণমালা,অরুণধুতি,বেহুলা প্রভৃতি ভারতীয় পোশাক। ভারতীয় পোশাকের ভীড়ে জায়গা করতে পারছেনা দেশীয় পোশাক। সিলেট নগরীর বিভিন্ন মার্কেটগুলো ঘুরে দেখাগেছে বিভিন্ন গার্মেন্টেসের দোকানে তরুণীদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মত। এবার ঈদে মেয়েদের পোশাকের ক্ষেত্রে নতুন আকর্ষণ ভারতীয় সিরিয়াল কিরনমালার নাটকের বিভিন্ন চরিত্রের নামে নামকরণের পোশাক। এরমধ্যে কিরণমালা, অরুণধুতি, বেহুলা থ্রি পিস। এসব পোশাকের দাম ২হাজার ৫শ’ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া লং ফ্লোরিং টপস নামের এই পোশাকটি এবার নতুন এসেছে। এর দাম ১৫শ’ টাকা থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে বাচ্চাদের যোগ হয়েছে নাতুন নতুন পোশাক। নরেন্দ্র মোদি নামের কট সেট, বাবা সেট, ফ্রগসেট ডিভাইডার, ফ্লোর টপস কূর্তি অন্যতম। নরেন্দ্র মোদি কট সেটের দাম ১৫শ’ থেকে ১৭শ’ টাকা। ছেলেদের পোশাকের তালিকায় নতুন কিছু যোগ হয়নি বলে জানান বিক্রেতারা। তবে ছেলেদের নতুন আইটেমের পোলো গেঞ্জি, কিটস, কট বা সিঙ্গেল শার্ট এসেছে ঈদের বাজারে।ভারতীয় বাহারী ডিজাইন চটকদার রঙের ঠেলায় টিকতে পারছে না দেশীয় পোশাক। এছাড়া ভারতীয় কাপড় অপেক্ষাকৃত কম মূল্য হওয়ায় এর চাহিদা বেশী। সিরাজগঞ্জের বিখ্যাত তাঁতের শাড়ী,টাঙ্গাইলের বিখ্যাত জামদানী,রাজশাহীর বিখ্যাত সিল্কসহ দেশীয় বিখ্যাত কাপড় অনেকটাই যেন চাপা পড়েছে ভারতীয় পণ্যের কারণে। এরকমই ভয়ংকর তথ্য জানান,কয়েকজন ব্যবসায়ী। এছাড়া সিলেট ভারতীয় পেশাকের আধিপত্যের মূল কারণ সীমান্তবর্তী অঞ্চল।