ক্রীড়া ডেস্ক :
ঘরের মাঠ, পরিচিত কন্ডিশন, দর্শকদের সাপোর্ট। কিন্তু নিজেদের চিরচেনা উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি২০ সিরিজে তামিম-সাকিবরা সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। কারণ সেই বিশ্বকাপ থেকেই মাশরাফি বাহিনী স্পোর্টিং উইকেটে খেলে আসছে। ফলে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজের আগে উইকেট নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় টাইগার শিবির।
পাকিস্তান এবং ভারতের বিপক্ষে সিরিজেও স্পোর্টিং উইকেটে খেলেছে ক্রিকেটাররা। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা দল স্পিনে ততোটা ভালো না খেলায় তাদের বিপক্ষে স্পিন-সহায়ক উইকেট বানানো হয়েছে। তবে এমন স্পিন-সহায়ক উইকেটে উল্টো বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের খেলতে অসুবিধা হচ্ছে। বিশেষ করে স্পোর্টিং উইকেটে খেলে অভ্যস্থ হয়ে পড়ায় স্পিন উইকেটে ব্যাটসম্যানদের মানিয়ে নিতে একটু সমস্য হচ্ছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
ওয়ানডে সিরিজেও উইকেট স্পিনিং হলে নিজেদেরই বিপদ ডাকা হতে পারে। আবার উইকেট একটু গতিময় হলে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের তোপে পড়ার শঙ্কা আছে। আর তাই সিরিজ শুরুর আগের দিন বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে উভয় সঙ্কটের কথা জানালেন মাশরাফি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘উইকেট নিয়ে এখন বেশ বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিভ্রান্ত বলতে আমাদের শেষ কয়েকটি সিরিজ, বিশ্বকাপ ও ঘরের মাঠে স্পোর্টিং উইকেটে সিরিজে খেলেছি। এমনকি ব্যাটসম্যানরা স্পোর্টিং উইকেটে বেশ ভালো খেলেছে। বোলাররাও বেশ ভালো করেছে। কিন্তু এখন এখানে স্পোর্টিং উইকেট দিলে ওদের পেস বোলিংয়ের একটা ব্যাপার থাকে। তাই এসব চিন্তা করতে হবে। তবে হ্যাঁ, উইকেট নিয়ে এখন বেশি না ভাবাই ভালো।’
তবে উইকেটের একটা হিসাব-নিকাশ দিলেন স্বাগতিক অধিনায়ক মাশরাফি। তার মতে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে উইকেট হতে পারে নিঁচু এবং বাউন্সি। মাশরাফি বলেন, ‘আর প্রতিপক্ষ যখন পেসের থেকে স্পিন খেলায় একটু দুর্বল থাকে, সেই সুবিধা নিতে চাইবেই সবাই। আমাদের যদিও অনেক টার্ন করানোর মতো স্পিনার নেই। কিন্তু তারপরও ওদের স্পিনারদের সামলানোর ভাবনাও ভাবতে হবে। তবে ওদের স্পিনারদের চেয়ে বড় স্পিনার আমরা সামলেছি। তাই বৃহৎ স্বার্থের খাতিরে একটু ছাড়তো দিতেই হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে যে ধরণের উইকেটই থাকুক আমাদেরকে মানিয়ে নিয়ে ভালো খেলতে হবে। আর দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে আমাদেরকে এক ধাপ বেশি ভালো খেলতে হবে। সব বিভাগেই ভালো করতে হবে। এরপর যদি জয়ের কথা বলি তাহলে তখন তা আসতে পারে।’