শনিবার , ২২ আগস্ট ২০১৫ | ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলাম
  7. এক্সক্লুসিভ
  8. কক্সবাজার
  9. করোনাভাইরাস
  10. খেলাধুলা
  11. জাতীয়
  12. জেলা-উপজেলা
  13. পর্যটন
  14. প্রবাস
  15. বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি

ঈদগাঁওর কাঁচা বাজারে ডিম-সবজির দাম লাগামহীন : ঝাঁঝ বেড়েছে কাঁচা মরিচের

প্রতিবেদক
কক্সবাজার আলো
আগস্ট ২২, ২০১৫ ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ

এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও :
টানা বৃষ্টিতে চাহিদার তুলনায় আমদানি কম হওয়ায় কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও’র কাঁচা বাজারে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০-২০ টাকা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যাপ্ত সবজি বাজারে আসছে না আর এ কারণেই দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। অধিকাংশ সবজিই বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০-৬০ টাকা দরে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে মাংসের দাম। বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে। বিশেষ করে কাঁচা বাজারে প্রভাব পড়ছে বেশি। অতি বৃষ্টির কারণে পরিবহণ ব্যয় কিছুটা বেড়েছে। আর এ অজুহাতকে কাজে লাগিয়ে কারণ ছাড়াই বিক্রেতারা বাড়াচ্ছে পণ্যের দাম। গত কয়েকদিনে লাগামহীনভাবে বেড়েছে সকল ধরনের সবজির দাম। তবে কোনো কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ডিমের দাম। তবে ব্যবসায়ীদের মতে, বাজারে আমদানি কম, পরিবহণ খরচ বেশি। এই অবস্থা থাকলে আগামীতে নিত্যপণ্যের দাম আরো বাড়তে পারে। আর সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, মিথ্যা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন। শুক্রবার ছুটির দিন ঈদগাঁও’র কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা, পটল ৫৫ টাকা, করলা ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা এবং বেগুন ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর বয়লার মুরগীর ডিম বিক্রি হচ্ছে হালি প্রতি ৩৬-৪০ টাকা। কাঁচাবাজারে দামের বিষয়ে বৈরী আবহাওয়াকেই দুষছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীদের মতে, বৃষ্টির কারণে কাঁচাপণ্যের সরবরাহ কমে গেছে। ফলে বেশি দাম দিয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পণ্য কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে।এভাবে বৃষ্টি আরো কয়েকদিন চলতে থাকলে সবজির দাম আরও বাড়তে পারে বলেও আশংকা প্রকাশ করেন। অন্যদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীদের মতে, বৃষ্টির কারণে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে তাদের কাছ থেকে আমাদের বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দুই তিন গুণ দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর বাড়তি টাকা গুণতে হচ্ছে আমাদের। পেঁয়াজের দামের বিষয়ে এক আড়তদারের মতে, আসলে একটা পেঁয়াজ যদি বৃষ্টির পানিতে পঁচে যায় তবে বাকি পেঁয়াজ রাখা খুব অসুবিধা হয়ে পড়ে। এ কারণে বাজারে এর কিছুটা প্রভাব পড়ছে। এর সঙ্গে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিকেও কারণ হিসেবে দাবি করেছেন তিনি। ডিমের দাম বাড়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীর মতে, বৃষ্টি ও ঠান্ডায় অনেক দেশি মুরগি মারাও যাচ্ছে, ডিম পাওয়া যাচ্ছে না। তারা আরো বলেন, বাজারে মাছ, মাংস, ডাল ও শাকসবজির দাম বাড়ার কারণে ডিমের চাহিদা বেড়েছে। আর এ কারণে বাজারে ডিমের সংকট হয়েছে। এদিকে ডিমের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে বয়লার ও লেয়ার মুরগির মাংসের দাম। বাজারে বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকায়। লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকায়। তবে দেশি মুরগির দাম এখনো চড়া রয়েছে। বাজারে পেয়াজের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫/৬ টাকা। সবজিসহ নিত্য পণ্যের দাম দিন দিন বেড়েই চলছে, এমন অনুযোগ ক্রেতাদের। আবার বঙ্গোপসাগরে একদিকে প্রকৃতির বিরুপ প্রতিক্রিয়া অন্যদিকে হঠাৎ করে মাছের আকাল দেখা দেয়ায় গত কিছুদিন যাবৎ জীবন ঝুঁকি নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া জেলেরা খালি হাতে ফিরে আসছে। দেখা গেছে,শতাধিক বোট কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন ঘাট এলাকায় নোঙ্গর করেছে। এতে করে বোটের মালিকদের মাঝে বিরাজ করছে চরম হতাশা। তাই ঈদগাঁওয়ের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের লোকজনকে চড়াদামে কিনতে হচ্ছে নানা জাতের মাছ। ঠিকমত বাজার মনিটরিং এর জোর তাগিদ দিয়েছেন গ্রামাঞ্চলের সচেতন লোকজন। অন্যথায় একের পর এক দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে বিপাকে পড়বে বৃহত্তর এলাকার লোকজন।

সর্বশেষ - কক্সবাজার

https://coxsbazaralo.com/