কক্সবাজার আলো ডেস্ক :
এ বছর ৮ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি (উচ্চ মাধ্যমিক) সার্টিফিকেট ও সমমানের (আলিম ও কারিগরি) পরীক্ষার পাসের হার ৬৯.৬০ শতাংশ। মোট পাস করেছে ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭২ জন। দুপুর ২টা থেকে অনলাইন ও এসএমএস এর মাধ্যমে ফল পাওয়া যাবে। গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৭৮.৩৩ শতাংশ। ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার কমেছে ৯.৯০ শতাংশ। এবার মোট জিপিএ পেয়েছে ৪২ হাজার ৮৯৪জন। ফলাফলের দিক থেকে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। মেয়েদের পাসের হার ৭০.২৩।অন্যদিকে ছেলেদের পাসের হার ৬৯.০৪ শতাংশ। তবে এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ও মোট জিপিএ বেড়েছে। একইভাবে কারিগরি শিক্ষায়ও উন্নতি হয়েছে।
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য মতে, কুমিল্লা বোর্ডে ৫৯.৮০ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৬৩.৪৯ শতাংশ, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে ৭০.৩৬ শতাংশ, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ৭৭.৫৪ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৭০.০৬ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৪৬.৬৫, মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৯০.১৯ শতাংশ ও কারিগরি বোর্ডে পাস করেছে ৮৫.৬৮ শতাংশ।
রোববার (০৯ আগস্ট’২০১৫) সকাল ১০টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ১০ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন।
পরে শিক্ষামন্ত্রী ফলাফলের চুম্বক অংশ তুলে ধরেন।
পরীক্ষার ফলে পাসের হার কমে যাওয়া বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসব পরীক্ষার্থীরা বাড়তি ক্লাস তো দূরে থাক রাজনৈতিক অস্থিরতায় অনেক সময় নিয়মিত ক্লাসও করতে পারেনি।তাই ফলাফলে হরতাল-অবরোধের প্রভাব পড়েছে।
প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, কুমিল্লা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪৫২ জন, মাদ্রাসা বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪৬৫জন। দিনাজপুর বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২ হাজার ২৯৩ জন। এছাড়া যশোর শিক্ষা বোর্ডে ১ হাজার ৯২৭ জন এবং বরিশাল বোর্ডে ১ হাজার ৩১৯ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে।
৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৫.৮৪ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৪ হাজার ৭২১ জন।
এসএমএসে ফল পেতে HSC স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর, এরপর স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে 2015 লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফল পাওয়া যাবে।
আলিমের ক্ষেত্রে Alim লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে 2015 লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
আর এইচএসসি ভোকেশনালের জন্য HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে 2015 লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
অনলাইনে ফল পেতে www.educationboard.gov.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ এই ওয়েবসাইট থেকে ফল ডাউনলোড করতে পারবে।
গত ১ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়া পরীক্ষা সারা দেশে দুই হাজার ৪১৯টি কেন্দ্রে আট হাজার ৩০৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে ২৬, ২৭ ও ২৮ এপ্রিলের পরীক্ষা পিছিয়ে ২, ৪ ও ১৬ মে গ্রহণ করা হয়।
১১ জুন পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষে ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় ১৩ থেকে ২২ জুন।