মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, কক্সবাজার আলো :
টেকনাফ বাড়িঘর তৈরীর নিমার্ণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি ফলে ঘূর্ণিঝড় কোমেনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তরা বিপাকে পড়েছে।
সীমান্ত এলাকা টেকনাফে অসংখ্য ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট, অফিস-আদালত ও ঘেরা-বেড়া ভেঙ্গে তছনছ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ি-ঘর তৈরী করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে স্ব-স্ব এলাকার লোকজন। কিন্তু নিমার্ণ সামগ্রীর বাজার আগুন। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বাড়ি-ঘর তছনছের ঘটনাকে পুজি করে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী বাড়ি ঘর নিমার্ণ সামগ্রীর দাম ২-৩ গুন বাড়িয়ে দিয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির লোকজন জানায়। এতে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে হতদরিদ্র লোকজন। টেকনাফে বাড়ি ঘর নিমার্ণ সামগ্রীর বাজার পরিদর্শন করে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড়ের আগেই যে সমস্ত সামগ্রীর দাম ছিল ক্রেতা সাধারণদের নাগালে তা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ক্রেতা সাধারণদের অনেক দূরে সরে গেছে। মুলি বাশঁ বিক্রয় হচ্ছে ছোট শত প্রতি ৪ হাজার টাকা, মাঝারি ৫ হাজার টাকা, বড় ৬-৭ হাজার টাকা। গোল পাতা শত প্রতি ৫-৬ হাজার টাকা। নরমাল গাছ ফুট প্রতি ৬-৭শ টাকা। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে বড় বাশঁ যা স্থানীয় ভাষায় (শিবা বাশঁ) এর দাম ৪-৫শ টাকা। গোল পাতার ছাড়া লবণ মাঠের পলিথিন বড় ৮-৯শ টাকা। ছোট ৩-৪শ টাকা। ঢেউটিন নরমাল ৪-৫ হাজার টাকা বান্ডিল প্রতি। দৈনিক শ্রমিকদের মজুরি ৬-৭ শ টাকা। এভাবে প্রতিটি নিমার্ণ সামগ্রীর দাম দিন দিন বৃদ্ধি হতে চলেছে। এর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকার হতদরিদ্র লোকজন অর্থের অভাবে খোলা আকাশে দিন যাপন করছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানায়। হতদরিদ্র লোকজন জানায়, নিমার্ণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে তাদের পক্ষে নতুন করে বা বড়ি-ঘর সংস্কার করা সম্ভব হবেনা বিধায় খোলা আকাশের নিচে এ ভরা বর্ষাকালে জীবনযাপন করতে হবে। তাই তারা অনতিবিলম্বে বাড়ি-ঘর নিমার্ণ সামগ্রীর দাম সাধারণ জনগনের দৌঁড়গোড়ায় রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।