রবিবার , ৯ আগস্ট ২০১৫ | ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলাম
  7. এক্সক্লুসিভ
  8. কক্সবাজার
  9. করোনাভাইরাস
  10. খেলাধুলা
  11. জাতীয়
  12. জেলা-উপজেলা
  13. পর্যটন
  14. প্রবাস
  15. বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি

তানহার মৃত্যু, চাই অভিবাবকদের সচেতনতা

প্রতিবেদক
কক্সবাজার আলো
আগস্ট ৯, ২০১৫ ৩:২০ অপরাহ্ণ

ইব্রাহীম আজাদ বাবু :
অনেক দিন পর লিখছি । সম্প্রতি ঘটে যাওয়া তানহার আত্নহত্যার বিষয়টি এখন ও মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে ।তাই এই কক্সবাজারের মেয়ে বলে নিজের দায়বদ্ধতা থেকে কিছু বলার চেষ্টা করছি ।
তানহা আত্নহত্যা করলো সেটা অব্যশই তার ভুল সিন্ধান্ত ছিল ,তবে তার আত্নহত্যার জন্য যদি সত্যি অন্য কেউ দায়ী হয়, সত্যি যদি অন্যকেউ আশালীনভাবে অপমান করে থাকে -জানা মতে এদেশের আইন অনুযায়ী আত্নহত্যার প্ররোচনায় শাস্তির বিধান আছে। কোন এক সময় নিম্নের আইনের ধারা খানা ইন্টারনেট থেকে সংরক্ষণ করেছিলাম। আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি ধারা খানা
“নারী ও শিশু নির্যাতন আইন (২০০০ সনের সংশোধন) এ “৯ক”। নারীর আত্নহত্যায় প্ররোচনা,ইত্যাদির শাস্তি :- কোন নারীর সম্মতি ছাড়া বা ইচ্ছার
বিরুদ্ধে কোন ব্যক্তির ইচ্ছাকৃত (willful) কোন কার্য দ্বারা সম্ভমহানি হইবার প্রত্যক্ষ কারণে কোন নারী আত্নহত্যা করিলে উক্ত ব্যক্তি উক্ত নারীকে অনুরূপ কার্য আত্নহত্যা  করিতে প্ররোচিত করিবার অপরাধে অপরাধী হইবেন এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি  অনধিক দশ বত্সর কিন্তু অন্যূন পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার  অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডিত হইবেন।””
তবে উক্ত আইন বর্তমানে বাংলাদেশে কার্যকর হয় নাকি আইনের ছাত্ররা এবং আইনজীবীগণ ভাল জানবেন।
আসছি প্রেমিক এর কথায় বিভিন্ন গণম্যাধ্যমে জানলাম তানহার সেই প্রেমিকের আরো অনেক প্রেমিকা ছিল এবং তার র্টাগেট ছিল সপ্তম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণীর মেয়েদের প্রতি, এই বয়সের মেয়েদের নিজের জীবনের বাচ বিচার করার ক্ষমতা কতটুকুই বা থাকবে ?
যাই হউক কক্সবাজার শহরে আমরা যখন রাস্তাঘাটে যাচ্ছি বিভিন্ন ভাল ও সভ্রান্ত পরিবারের স্কুল পড়ুয়া থেকে ইন্টার লেবেলের ছেলেদের চোখে পড়ে
বিভিন্ন জনবহুল স্থান, বিভিন্ন স্কুল প্রতিষ্টানের সামনে রাস্তাগুলো তে আড্ডা ও বেপরোয়া চলাফেরা করছে। বড়দের সস্মান না দেখিয়ে চিল্লাফাল্লা করছে, ইভটিজিং করছে,স্কুল ও কোচিং সেন্টারে সামনে দিয়ে মোটর সাইকেলের হর্ণ বাজিয়ে যাচ্ছে, আসছে অথবা ভাব দেখিয়ে সিগারেট ফুঁকছে । এইসব খুব দুঃখজনক আবার তাদের কেউ বাধা, নিষেধ করতে গেলে বাধছে ঝগড়া ও বিপত্তি। আমার দেখা অনেক গুলো ঝগড়া আছে ইভটিজারদের বাধা দিতে গিয়ে হয়েছে এইসব । বেশিরভাগ সময়ে দেখছি অভিবাবকরা নিজের ছেলেকেই সমর্থন করে। ছেলের দোষ না দেখে তার পক্ষপাত করে প্রশ্রয় দিচ্ছে।কিন্তু তারা কেমন অভিবাবক কিংবা বাবা,মা নিজের নাবালক ছেলে বা মেয়ে কোথায় কি করছে, কার সাথে মিশছে এসব বিষয়ে ভালভাবে খোজ, খবর নিচ্ছে না। এমন অনেক ভাল পরিবার আছে বাবা,মা যে যার ধান্ধায় ব্যস্ত , ছেলে বাবার টাকায় খারাপ কাজে লিপ্ত। বর্তমানের বাবা,মাদের উচিৎ হবে অন্তত স্কুল পড়ুয়া  ছেলে,মেয়েদের ভালভাবে খোজ,খবর রাখা। আর যেন কোন স্কুল পড়ুয়া তানহার মত কোন ফুটন্তফুল অকালে ঝরে না যায়।
আর যেন কোন অভিবাবক ছেলের দোষ, গুণ বিচার না করে ছেলে কে প্রশ্রয় না দেয়।
আর একজন অপরাধীর বড় পরিচয় হবে ,সে একজন অপরাধী। সে যার ছেলে,বাবা,মা হউক না কেন, যতই ক্ষমতাশালী হউক না কেন অপরাধীকে আইনে আওতায় আনা দরকার। নচেৎ তানহাদের অকালে ঝরে পড়া রোধ করা যাবে না।

ইব্রাহীম আজাদ বাবু
সম্পাদক
কক্সনিউস টোয়েন্টিফোর ডঢকম।

সর্বশেষ - কক্সবাজার

আপনার জন্য নির্বাচিত
https://coxsbazaralo.com/