শনিবার , ১ আগস্ট ২০১৫ | ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলাম
  7. এক্সক্লুসিভ
  8. কক্সবাজার
  9. করোনাভাইরাস
  10. খেলাধুলা
  11. জাতীয়
  12. জেলা-উপজেলা
  13. পর্যটন
  14. প্রবাস
  15. বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি

তৃতীয়বারের মত বন্যার পানিতে ডুবলো ঈদগাঁও বাজারসহ অর্ধশতাধিক গ্রাম : হাহাকার লোকজন

প্রতিবেদক
কক্সবাজার আলো
আগস্ট ১, ২০১৫ ৪:৩৪ অপরাহ্ণ

এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও বাজারসহ বৃহত্তর এলাকার অর্ধশতাধিক গ্রাম ফের তৃতীয়বারের মত বন্যার পানিতে ডুবলো। এতে অনেক পরিবার অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। হাহাকার অবস্থায় রয়েছে গ্রামাঞ্চলের অসহায় লোকজন। যদ্দুর দেখা যায়, ততদুর পানি আর পানি ছাড়া কিছুই নেই। টানা পক্ষকাল ধরে ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল কিংবা দমকা হাওয়ায় ফের তৃতীয়বারের মত ঈদগাঁওবাসীকে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে বন্যা। উপকূলীয় এলাকার লোকজনদের মাঝে মহাবিপদ সংকেতের আতঙ্ক কাটলেও নতুন আকারে দেখা দিয়েছে জোয়ার কিংবা বন্যার পানির আতঙ্ক। এতে করে বিশাল এলাকার সড়ক-উপসড়কে ক্ষতবিক্ষত চিহ্ন স্মৃতি সরূপ রয়ে গেছে। জানা যায়, গেল বন্যার ২০দিন পার হতে না হতে ফের বন্যার সম্মুখীন হয়েছে ঈদগাঁও বাজারের অলিগলিসহ বৃহত্তর এলাকার লোকজন। গতকাল ১ আগষ্ট রাত্রে প্রচন্ড বৃষ্টিপাতে বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা জালালাবাদ, ইসলামাবাদ, পোকখালী, চৌফলদন্ডী, ইসলামপুরসহ ঈদগাঁও ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জের বাড়িঘরে এবং বাজার এলাকা হাটু পরিমাণ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। যান ও জন চলাচল নিয়ে দুর্ভোগ আর দুর্গতিতে পড়েছে মানুষজন। গেল বন্যার সময় রাস্তাঘাটের সংস্কার না হওয়ায় জনদুর্ভোগ পড়ার পাশাপাশি আবারো একই দশায় ভুগছেন এলাকার লোকজন। এদিকে দক্ষিণ চট্টলার বৃহত্তম বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারজুড়ে হাটু পরিমাণ পানিতে ভাসছে দোকানপাট। শতকরা ৮০ ভাগ দোকানে বন্যার পানি প্রবেশ করে প্রচুর পরিমাণ মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিগত বন্যার সময় ব্যবসায়ীরা বাজারের ব্যাপক ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের তৃতীয়বারের মত একই দশায় পড়েছে ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে তাদের চোখে মুখে মলিন চেহারা ভেসে উঠছে। অপরদিকে ঈদগাঁও মাইজপাড়ার ভরাখাল দিয়ে সুষ্ঠুভাবে বন্যার পানি যাতায়াত করতে না পারায় খালের পার্শ্ববর্তী বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করে মহাদুর্ভোগে পড়েছে এলাকার মা-বোন। এছাড়াও উপকূলীয় এলাকা পোকখালী, গোমাতলী ও চৌফলদন্ডীর বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে এখনো বন্যার পানিতে পানিবন্দী অবস্থায় অসহায় লোকজন দিন কাটাচ্ছে বলে জানান অনেকে। ইসলামাবাদের পাহাশিয়াখালী, টেকপাড়া, ইউছুপেরখীল, ঈদগাঁওয়ের ভোমরিয়াঘোনা, মাইজপাড়া, ভাদিতলা, দরগাহ পাড়া, হাসিনা পাহাড়, মাছুয়াখালী, কালিরছড়া, চাঁন্দেরঘোনা, মেহেরঘোনা, পালপালা, কুলাল পাড়া, গরুর হালদাসহ প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জে বন্যার পানিতে সয়লাব রয়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টিপাত কিছুতেই কমছে না। খালবিল আর নদীনালা যেন পানিতে একাকার। আবার অতিবৃষ্টির কারনে জালালাবাদ রাবারড্যাম এলাকায় ভাঙ্গনের ফলে জোয়ার ও বৃষ্টিপাতের পানিতে মাইজপাড়া, বটতলী পাড়া, পালাকাটা, নতুন মহাল, মোহনবিলা, লরাবাকসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। অপরদিকে গেল বন্যায় বাঁশঘাটার ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় বিপুল সংখ্যক লোকজনের চলাচলে নিদারুন কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। অন্যদিকে বন্যার পানিতে ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ডোবা রয়েছে। দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাঙ্গনে এসে মহাবিপাকে পড়তে দেখা গেছে। আবার ঈদগাঁও ভূমি অফিস, জালালাবাদ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদসহ বাজারের বিভিন্ন মার্কেট পানিবন্দী। চৌফলদন্ডীর ওয়াপদা বাঁধ সংস্কার না করলে বর্ষা মৌসুমে আরো মহা মরণ দশায় ভুগতে হবে বলে জানান এক জনপ্রতিনিধি। বিশাল এলাকার গ্রামগঞ্জের লোকজন রাখে আল্লাহ মারে কে অবস্থায় দিনাতিপাত করছে বলে জানা যায়। এদিকে ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের ভোমরিয়াঘোনা অংশে ভাঙ্গনের ফলে ঈদগাঁও-ঈদগড় ও বাইশারী এলাকার যাতায়াতরত লোকজনকে পড়তে হচ্ছে মহা দুর্ভোগে। তার উপর নৌকা দিয়ে একশত গজ জায়গা পারাপারে ২০/৩০ করে জনপ্রতি হাতিয়ে নিচ্ছে বলে জানান একাধিক পথচারী। তবে সচেতন মহলের মতে, বৃহত্তর ঈদগাঁওকে বন্যা দূর্গত এলাকা ঘোষণা করে দ্রুততম সময়ে ত্রাণ সহায়তা পৌছানোর জোর দাবী জানান।

সর্বশেষ - কক্সবাজার

https://coxsbazaralo.com/