এস.এম.ছগির আহমদ আজগরী, পেকুয়া :
পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি রমিজপাড়া এলাকায় এক যুবতীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে ভূক্তভুগী যুবতী রোজিনা বেগম বাদী হয়ে ককসবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং সিপি ৭৯৫/১৫। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই মেয়ের অন্যত্র বিবাহ ঠিক হইলে তাহা ভঙ্গ করার জন্য এলাকার আবদুল কাদেরের পুত্র আবদু শুক্কুর, মনির উল্লাহর পুত্র শাহাব উদ্দিন মিলে উঠে পড়ে লাগে। যার মধ্যে ১ নং আসামী বাদিনীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করতে বাধ্য করতে মরিয়া হয়ে উঠে। এমনকি ভুক্তভুগী বাদিনীর পিতাকে বিভিন্ন সময়ে অব্যাহত চাঁপ ও নানা ধরনের হুমকি ধমকি প্রদর্শন শুরু করে। এতে রাজী না হওয়ায় ওই আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে ঘটনার দিন বাদিনীর ঘরে পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতির সূযোগে ভুক্তভুগী বাদিনী যুবতীকে জোরপূর্বক ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে ওই বাদীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এ সময় বাদিনী শৌর চিৎকার শুরু করলে আসামীগন দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে, প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা ভুক্তভুগী যুবতীকে ঘটনাস্থল থেকে উলংগ ও আহতবস্থায় উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনার কথা উল্লেখ করে ভুক্তভুগী যুবতী রোজিনা বেগম বাদী হয়ে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যূনাল আদালতে ঘটনায় জড়িতদের নামোল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। আদালত বিষয়টির তদন্তভার অর্পণ করেন পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) শহিদুল্লাহ কে। সম্প্রতি তিনি ঘটনাটির প্রাথমিক তদন্তে গিয়ে তার সত্যতা পেয়েছেন বলেও বাদিনীর পিতা কামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান। এ ব্যাপারে বাদীর নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সু’দৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন তার পরিবার।