ইমরান হোসাইন, পেকুয়া :
বারবাকিয়া পাহাড়িয়াখালী গ্রামের ছৈয়দ আহমদের স্ত্রী সাফিয়া খাতুন। গতকাল ১১আগষ্ট(মঙ্গলবার) সকাল ৯টার দিকে তার কনিষ্ট ছেলে আবির(৯)’এর পেটে ব্যাথা শুরু হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে আবিরের ব্যাথার তীব্রতা আরো বাড়তে থাকায় দিশাহীন হয়ে পড়েন সাফিয়া খাতুন। তাই তৎক্ষনাত ছুটেন হাসপাতালে। বারবাকিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌছান বেলা সাড়ে ১১টায়। আশা করেছিলেন, হাসপাতালে পৌছা মাত্র ডাক্তারের সুচিকিৎসায় সুস্থ হয়ে যাবে তার ছেলে। কিন্তু না ! দুপুর সাড়ে ১১টার সময়ও হাসপাতালে এসে পৌছায়নি সহকারী মেডিকেল অফিসার ডাঃ মনির উল্লাহ।
পরিশেষে, আরো আধা ঘন্টারও বেশী সময় ধরে অপেক্ষা করে একপ্রকার বাধ্য হয়ে তার ব্যাথায় কাতর ছেলেকে নিয়ে ধরলেন পেকুয়া উপজেলা সদরের রাস্তা।
একই সময়ে ডাঃ মনির উল্লাহ’র প্রাইভেট চেম্বার সহকারী আবুল কাসেমের কাছে ফোনে ডাক্তারের অবস্থান জানতে চাইলে, পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের টি.এইচ.ও (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মুজিবুর রহমানের নিজস্ব বাসভবনস্থ প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখছেন বলে জানান।
বারবাকিয়া ইউনিয়নের সচেতন ব্যক্তিরা অভিযোগের সাথে জানান, ডাঃ মনির উল্লাহ নিয়মিত বারবাকিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন না। আসলেও খুব কম সময়ের জন্য এসে আবার চলে যান। ১/২ ঘন্টারও কম সময় তিনি সরকারী কর্মস্থল বারবাকিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দিয়ে থাকেন, তাও নিয়মিত নয়। শুধুমাত্র চেম্বার বাণিজ্য করার জন্য উক্ত ডাক্তার ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সময় দেয়না উল্ল্যেখ করে, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান তারা। একইসাথে উক্ত ডাক্তার পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের টি.এইচ.ও (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মুজিবুর রহমানের ছোট বোনের স্বামী হওয়াতে কোন রকম নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করেন না বলেও জানান তারা।
পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা(আর,এম,ও) ডাঃ রেজাউল হাসান’এর কাছে এই ব্যাপারে ফোনে জানতে চাইলে, তিনি প্রতিবেদকের সব প্রশ্ন এড়িয়ে যান। পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের টি.এইচ.ও (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মুজিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করতে বলে তিনি মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের টি,এইচ,ও ডাঃ মুজিবুর রহমান’এর কাছে এই ব্যাপারে জানতে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে বারবাকিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সহকারী মেডিকেল অফিসার ডাঃ মনির উল্লাহ’এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।