এস.এম.ছগির আহমদ আজগরী, পেকুয়া :
পেকুয়ায় এক সংখ্যালঘুর খরিদা স্বত্বে স্থাপনা নির্মাণে প্রভাবশালীদের বাঁধা দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে বিপাকে পড়ে ভুক্তভুগী অসহায় সংখ্যালঘু ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সু’দৃষ্টি কামনা করেছেন। জানা যায়, স্থানীয় মৃত নগেন্দ্র লাল বিশ^াসের পুত্র সমির কুমার প্রকাশ আশেক বাবু তার ওয়ারিশ সূত্রের পেকুয়া মৌজার ১৩০৩নং খতিয়ান মূলে বর্ণিত মালিকানাধীন জায়গার অংশ বিশেষ বিক্রির ঘোষনা দিলে সাতকানিয়া নিবাসী শ্রী মনোহরী তালুকদারের পুত্র পেকুয়া উপজেলার আলহাজ¦ কবির আহমদ চৌধুরী বাজারে দীর্ঘ ২৪/২৫ধরে বসবাসকারী ব্যবসায়ী রনজিত কুমার তালুকদার তার কর্মস্থলে বসবাসের স্বার্থে কয়েক শতক জায়গা কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এনিয়ে দু’জনের মধ্যে শলা-পরামর্শের জের ধরে ব্যবসায়ী রনজিত তালুকদার গত ২৮/০৪/২০১৩ইংরেজী তারিখে চকরিয়া সাব-রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ে সম্পাদিত নির্দ্দায় সাফ কবলা দলিল নং-২৭৯৭ মূলে সমির কুমার প্রকাশ আশেক বাবুর পেকুয়া সদরের মিয়াপাড়া এলাকার চিহ্নিত চৌহর্দ্দি (যার উত্তরে চলাচলের খাল, পূর্বে বিক্রেতার জমি, দক্ষিণে বিক্রেতার পুকুর পশ্চিমে মৌলভী আমিন উল্লাহর খরিদা জমি)র’ স্থিত বি.এস ২০৬৬/৩৪২০ দাগাদির আন্দর .০৬শতক জায়গা ক্রয় করেন। পরবর্তীতে ভুক্তভুগী ব্যবসায়ী রনজিত তালুকদার সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে নির্ধারিত রাজস্ব প্রদান করতঃ তার খরিদা স্বত্বের নামজারী জমাভাগ মামলা নং-১৬৯০(১)/১২-১৩ইং মূলে খতিয়ান সৃজনও সম্পন্ন করেন। সাম্প্রতিক সময়ে ওই অসহায় ব্যবসায়ী রনজিত তালুকদার তার খরিদা জায়গায় বৈধ স্থাপনা নির্মানের উদ্যোগ নিয়ে সেখানে প্রয়োজনীয় মালামাল স্তুপ করেন। এনিয়ে স্থানীয় একটি অসাধু প্রভাবশালী চক্রের লোকজন লোলুপ দৃষ্টি ফেলে রনজিত তালুকদারের কেনা জায়গার উপর। এক পর্যায়ে প্রভাবশালী চক্রটি রনজিত তালুকদারের খরিদা স্বত্ব হাতিয়ে নিয়ে এলাকাছাড়া করার পাঁয়তারায় মাতেন। এসময় প্রভাবশালী চক্রটি ওই অসহায় ব্যবসায়ী রনজিত তালুকদারের বিরুদ্ধে থানায় হয়রানী মূলক অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি মাতেন পত্র পত্রিকায় মিথ্যাচারে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পেকুয়া থানার এস.আই বিমল কান্তি দে দু’পক্ষকে নিয়ে থানায় একাধিকবার শালিষী বৈঠকে বসলে সেখানে রনজিত তালুকদারের স্বত্ব খরিদ ও মালিকানা বিষয়ে যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমান মিললেও প্রভাবশালী মহলের চাঁপের মুখে তা বিলম্ভিত ও ভেস্তে যায়। গত কয়েকদিন পূর্বে ভুক্তভুগী ব্যবসায়ী রনজিত তালুকদার তার খরিদা স্বত্বের জায়গাটিতে বসবাসের জন্য ঘর নির্মাণ শুরু করলে ফের ওই প্রভাবশালী মহলটি সেখানে বাঁধা দেয়ার পাশাপাশি পত্র পত্রিকায় লাঘামহীন মিথ্যাচারে মেতে উঠেন। আর এনিয়ে বিপাকে পড়ে যায় ভুক্তভুগী ব্যবসায়ী রনজিত তালুকদার। ভুক্তভুগী রনজিত তালুকদার এ প্রতিবেদককে তার স্বত্ব মালিকানার বেশ কিছু দলিলপত্রের ফটোকপি হস্তান্তর করে জানান, তার বিষয়টি নিয়ে পেকুয়া থানার এস.আই বিমল কান্তি দে’ দু’পক্ষের দলিলপত্র ও স্বাক্ষী সাবুধ নিয়ে যে সমঝোতা বৈঠকে বসেন সেখানে স্থানীয় বারবাকিয়া ইউপি’র বিজ্ঞ প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান জাফর আহমদ ও সদরের অভিজ্ঞ বাসিন্দা হিরু মিয়া ছাড়াও অন্যান্য যারা উপস্থিত ছিলেন উনারা সকলেই তার পক্ষে যুক্তি দিয়ে বৈধতার সত্যতা নিশ্চিত করলেও ভিন্ন উপজেলার মানূষ হওয়ায় কু’চক্রী মহলটি তার বৈধ খরিদা স্বত্বের ভোগদখলে অহেতুক ব্যাঘাত সৃষ্টির মাধ্যমে ফাঁয়দা হাশিলের পাঁয়তারা চালাচ্ছেন মাত্র। তিনি এঘটনার আশু প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সদয় দৃষ্টি কামনা করেন। এবিষয়ে রনজিত তালুকদারের শালিষী প্রতিনিধি স্থানীয় বারবাকিয়া ইউপি’র বিজ্ঞ প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান জাফর আহমদ ও সদরের অভিজ্ঞ বাসিন্দা হিরু মিয়া’র কাছে জানতে চাইলে তারা রনজিত তালুকদারের মালিকানা স্বত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তার প্রতিপক্ষ অযোক্তিক ভাবে ব্যবসায়ী রনজিত তালুকদারের কেনা স্বত্ব ভোগে অহেতুক বাঁধা বিপত্তির মাধ্যমে হয়রানী করছেন। এদিকে, রনজিত তালুকদারের প্রতিপক্ষের মন্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের দেখা সাক্ষাত মিলেনি। বিরোধের তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই বিমল কান্তি দে’র কাছে জানতে চাইলে, বিষয়টি বর্তমানে ওসি সাহেবের কাছে বিচারাধীন রয়েছে জানিয়ে কোন ধরনের মন্তব্য করতে অপরাগতা জানান।