কক্সবাজার আলো ডেস্ক :
সিলেটের বিশ্বনাথে কবরে মরদেহ না পাওয়ার ঘটনায় বাবা-ছেলের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। দিনমজুর আব্দুল মনাফ হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল হাশিমের দায়ের করা মামলায় তাদের দু’জনের জামিন না মঞ্জুর করা হয়। তারা হলেন, হরিপুর গ্রামের উস্তার আলী ও তার ছেলে মিন্টু মিয়া।
সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতের বিচারক নজরুল ইসলাম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।
এর আগে, ৪ আগস্ট দুপুরে আদালতের নির্দেশে দাফনের ২ মাস ১৩ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উত্তোলন করতে যান উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুহেল মাহমুদ, সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু কবর খোঁড়ার পর মরদেহ পাওয়া যায়নি। শুধু আলামত হিসেবে কিছু কাফনের কাপড়, সুতলী ও নীল রংয়ের পলিথিন সংগ্রহ করা হয়। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্ট হয়।
স্থানীয়রা জানান, মরদেহটি বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মৃত জবান আলীর ছেলে আব্দুল মনাফের (৫৫)। গত ১৬ মে বিকেলে তিনি নিখোঁজ হন। এরপর ১৮ মে সন্ধ্যায় বসতঘরের সম্মুখের গোয়াল ঘর থেকে আব্দুল মনাফের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন (১৯ মে) আব্দুল মনাফকে হত্যার অভিযোগে গ্রামবাসী হরিপুর গ্রামের অভিযুক্ত উস্তার আলী ও তার ছেলে মিন্টু মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। অবশ্য পরে তারা আদালত থেকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন লাভ করেন।
এ ঘটনার পর নিহতের ভাই আব্দুল হাশিম বাদী হয়ে ৫ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে ২৫ মে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৩-এ একটি দরখাস্ত মামলা দায়ের করেন (সি.আর নং-১৪১/২০১৫)। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, হরিপুর গ্রামের উস্তার আলী তার ছেলে টিটু মিয়া (২৫), ভাই মিন্টু মিয়া (২২), লুৎফুর (৩২) ও একই গ্রামের মৃত মজর আলীর ছেলে কবিরুল (৩৫)।