নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভোটার তালিকা হাল নাগাদ করণ কার্যক্রম এখনো চলছে। কক্সবাজার সদর উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম অত্যন্ত সর্তকতার সাথে চলছে বলে জানাগেছে। কোন রোহিঙ্গা নাগরিক যাতে ভোটার তালিকার অর্ন্তভূক্ত হতে না পারে এজন্য এই সর্তকতা বলে জানাগেছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভোটার হতে গিয়ে জনৈক রোহিঙ্গা শামসুল আলমকে জেলহাজতে পাঠনো হয়েছে।
ভূয়া তথ্য দিয়ে ভোটার তালিকায় নাম লেখাতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা নাগরিককে পুলিশে দেয়া হয়েছে বলেও জানাগেছে। কক্সবাজার পৌরসভার ৯নং ওর্য়াডের মহেশখালীয়া পাড়া বৈদ্যেরঘোনার রোহিঙ্গা নাগরিক শামসুল আলম পিতা, কবির আহমদ ও মাতা হাফেজা খাতুন। জনৈক কবির আহমদ পিতা মোজাহের আহমদকে পিতা ও নুর জাহান স্বামী কবির আহমদকে পিতা মাতা দেখিয়ে ভোটার তালিকায় নাম অর্ন্তভূক্তির জন্য নিবন্ধন করে। উপজেলা বিশেষ কমিটির নিবন্ধন ফরম যাচাইকালে জানতে পারে আবেদনকারী মিয়ানমারের নাগরিক এবং সে জনৈক কবির আহমদ ও নুরজাহান দম্পতিকে মিথ্যা পিতা-মাতা বানিয়ে ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হওয়ার চেষ্টা করে। সে ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ এর ১৮ (খ) ধারায় অপরাধ করায় তাকে পুলিশে সর্পোদ করা হয়। পুলিশ তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়।
সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বেদারুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, গত ২৮ আগষ্ট ২০১৫ ইং ্এই ঘটনা ঘটে। সেই রোহিঙ্গা নাগরিক শামসুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন ও অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে মামলা করা হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বেদারুল আলম আরো জানান, এপর্যন্ত ১৮ হাজারের ও বেশী ফরম নিবন্ধন হয়েছে। যাচাই বাছাই বিশেষ কমিটি ৩ হাজার ৬০ টি ফরম বাতিল করেছে। এ ছাড়া ১৮ বছরের ফরম নিবন্ধন হয়েছে ৪হাজার ৭১৬টি। এর মধ্য থেকে বাদ পড়েছে ৬৫২টি। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বৈধ নিবন্ধিতদের ছবি তোলার কাজ শেষ হবে বলেও তিনি জানান।