কুতুবদিয়া প্রতিনিধি :
উপজেলায় লেমশীখালীর ব্যস্ততম রাজাখালী সড়ক ভেঙ্গে খান খান হয়ে গেছে। টানা বর্ষণের উপচেপড়া পানির ঢেউয়ের ধাক্কায় সড়কের দু’পাশের মাটি সরে গিয়ে ইটগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যাওয়ায় ৮ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের নিত্যচলাচলে মারাত্মক ঝুঁকি হয়ে পড়েছে।
৪.৩৩ কি.মি.বিশিষ্ট রাজাখালী সড়কটি মিরাখালী রোড থেকে দক্ষিণে শাহজীরপাড়া ব্রীজ পর্যন্ত বিস্তৃত। রাজাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, লেমশীখালী উচ্চ বিদ্যালয়, আল-ফারুক দাখিল মাদ্রাসা, পশ্চিম লেমশীখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শাহজীর পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৮ গ্রামের প্রায় ২০/৩০ হাজার মানুষের নিত্যচলাচলের এ সড়কের অর্ধেক ১৯৯৪ সনে ব্রীক সলিং করা হলেও বাকী অংশ এখনো রয়েছে কাঁচা। দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার-নির্মাণ না করায় বর্তমানে যানবাহন ও লোক চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি। স্কুল, কলেজ, মাদরাসা-মকতবের শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির দু’পাশে গাইডওয়ালসহ কার্পেটিং-ডাবল ব্রীকসলিং করার দাবী জানিয়েছেন মৌলভী এ.হক পাড়ার সমাজসেবক মুহাম্মদ তাহের, কাজীর পাড়ার পারভেজ আখতার মানিক, হাজারিয়া পাড়ার সাচি মিয়া, রাহাইত্তার পাড়ার জসিম উদ্দিন সিকদার, কবিরা পাড়ার মুহাম্ম উল্লাহ, আফাজউদ্দিন সিকদার পাড়ার ইউপি মেম্বার জাফর আলম, বশিরউল্লা সিকদার পাড়ার এসকান্দার ও শাহজীর পাড়ার মাষ্টার খোরশেদ আলম বাহাদুরসহ অনেকে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে অগ্রাধীর ভিত্তিতে বিধ্বস্ত সড়কটি উন্নয়ন তালিকায় আনার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ মহসিন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আখতার হোছাইন।