শীর্ষ নিউজ, ঢাকা :
স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করতে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি বেসরকারি কলেজগুলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আনা উচিৎ বলে মত প্রকাশ করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও কমিশনের সদস্যরা আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে শেখ হাসিনা এই মত প্রকাশ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান।
তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাগ্রহণের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সরকারি কলেজগুলোকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় নিয়ে আসার কথা বলেছেন। তবে বেসরকারি কলেজগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেই থাকবে।”
এতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর থেকে চাপ কমবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে দেশের সব ডিগ্রি কলেজ ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হত। ১৯৯২ সালে সরকারি কলেজগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। গত বছরের শেষ দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ২৭৯টি সরকারি কলেজকে বিভাগীয় পর্যায়ের পুরনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীভুক্ত করার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বর্তমানে দুই হাজার ১৫৪টি কলেজে ২০ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।
ইহসানুল করিম বলেন, ওই নির্দেশনা কার্যকর হলে ঢাকার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সরকারি কলেজগুলো আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় আসবে।
প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের কর্মদক্ষতা পর্যবেক্ষণ করার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেছেন বলে প্রেস সচিব জানান। সাক্ষাতের শুরুতেই অধ্যাপক আবদুল মান্নান মঞ্জুরি কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। অধ্যাপক মান্নান এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তখন ছয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। এখন সারাদেশে পাবলিক ও বেসরকারি মিলিয়ে ১২১টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে।
শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ২৪ কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তা চুক্তি হওয়ার বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।