জিয়াউল হক জিয়া, হোয়াইক্যং :
টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে চিহিৃত মানব পাচারকারীকে মামলা থেকে বাচাঁতে এক শ্রেণীর প্রভাবশালীরা মরিয়া হয়ে উঠেছে।
অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের দৈংঙ্গাকাটা এলাকার মৃত হায়দার আলীর পুত্র মঞ্জুর (৪০) দীর্ঘদিন ধরে এলাকা থেকে মালয়েশিয়া মানব পাচার করে আসছিল। গত ২২ আগষ্ট হোয়াইকং হরিখোলা চাকমা পাড়া এলাকার মৃত চান্দু চাকমার পুত্র মং কিউ মং চাকমা বাদী হয়ে তার পুত্র ওথাইংগ্য চাকমাকে অপহরণ করে মালয়েশিয়া পাচার অভিযোগ এনে মঞ্জুরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করে। যার নং-৫৩৮/১৫। মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় মং কিউ মং চাকমার পুত্র ওথাইংগ্য চাকমা বাড়ী থেকে দোকানের উদ্দেশ্যে বের হলে অভিযুক্ত মঞ্জুর, একই এলাকার মৃত মো: সিদ্দিকের পুত্র আবু বক্কর প্রকাশ গুরা মিয়া ও মো: জামানের পুত্র শওকত আলম ওথাইংগ্য চাকমাকে জোর পূর্বক সিএনজিতে করে তুলে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে অপহর করে। ঘটনার ১০দিন পর মঞ্জুরের ব্যবহৃত মোবাইল (০১৭১৯-১৪০৫৭০) থেকে কল করে ওথাইংগ্য চাকমার পিতার কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকাসহ অপর আসামী কাঞ্জর পাড়া এলাকার খলিল আহমদ প্রকাশ নাগুর পুত্র আবদু সত্তারের সাথে যোগাযোগ করতে বলে। ছেলে ফেরতের আসায় মং কিউ মং চাকমা জায়গা বিক্রি করে ১৮দিন পর ১ লক্ষ টাকা আবদু সত্তারকে দেয়। এরপর সন্ধানের খবর চাইলে উল্টো জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। এরপরও ছেলে ফেরতের আসায় দু’দফায় ৯০ হাজার টাকা প্রদান করলে ছেলের সন্ধান দেননি। এরপর ছেলের অসুস্থতা দেখিয়ে আরো ২৫ হাজার টাকা বদী করলে তাও পরিশোধ করি। টাকা পরিশোধের দিন থেকে অধ্যবতি অভিযুক্ত পাচারকারীদের যোগাযোগ করতে চাইলে মোবাইল বন্ধ করে দেয়। এদিকে অপহৃত পিতা ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে একটি প্রভাশালী মহল। এছাড়া আদালত মামলাটি টেকনাফ থানাকে তদন্তের দিলে বর্তমানে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি আইসি এস.আই সামিউর রহমানের হাতে দেয়। এদিকে ১ নাম্বার আসামী চিহিৃত মানব পাচারকারী মঞ্জুরকে মামলা থেকে বাচাঁতে প্রভাবশালী মহলটি মোটা অংকের মিশন নিয়ে দৌর-ঝাপ শুরু করেছে। এব্যপারে মামলা তদন্তকারী কর্মকতা এস.আই সামিউর রহমানের যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তদন্ত চলছে শেষ হতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে। প্রভাবশালীদের দৌড়-ঝাপের বিষয়ে তিনি জানান, অপরাধী যে হোকনা কেন তদন্তের মাধ্যমে আইনোগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।