সোয়েব সাঈদ, রামু :
রামুতে চতুর্থ, ৬ষ্ট ও সপ্তম শ্রেণির ৫ জন ছাত্র-ছাত্রী, ৯৫ বছরের বৃদ্ধ সহ নিরীহ লোকজনের বিরুদ্ধে সাজানো অভিযোগ দেয়ায় বাদীকে থানা হাজতে আটকে রাখে পুলিশ। পরে তাকে মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কয়েকঘন্টা আটক থাকা ছাবের আহমদ রামু উপজেলা চাকমারকুল ইউনিয়নের দক্ষিন চাকমারকুল এলাকার মৃত মোহাম্মদ নুরের ছেলে।
একই এলাকার হাজ্বী আবু আহমদের ছেলে মো. ইসমাইল জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে চিহ্নিত মামলাবাজ ছাবের আহমদ তাকে দীর্ঘদিন ডাকাতি, অপহরণ সহ বিভিন্ন মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে তাকে এবং পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করে আসছে।
সম্প্রতি তিনি রামু থানায় বিভিন্ন ভূয়া অভিযোগ এনে আবারো হয়রানিমূলক অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগে তাকে এবং তার ৯৫ বছর বয়সী বাবা হাজ্বী আবু আহমদ, ভাই মো. মূছা, ৪র্থ শ্রেণি পড়–য়া মেয়ে আজিজুন্নেসা মিষ্টি, ৬ষ্ট শ্রেণি পড়–য়া ছেলে ইয়াছিন ও ইয়াসেফ, ভাইয়ের মেয়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী রুপা আকতার ও আখিকে অভিযুক্ত করা হয়।
এদিকে অভিযোগটির তদন্তকারি কর্মকর্তা রামু থানার এ,এসআই রাশের এর নোটিশ পেয়ে এসব শিশু শিক্ষার্থী সহ অন্যান্য অভিযুক্তরা গতকাল বৃহষ্পতিবার (২৭ আগষ্ট) সকালে থানায় যান। থানা কম্পাউন্ডে এসব শিশু শিক্ষার্থীদের দেখে হতবাক হন থানার ওসি সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। এসময় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল মজিদ সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে অভিযোগকারি ছাবের আহমদকে থানা হাজতে আটকে রাখেন। পরে সন্ধ্যায় মুচলেখা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল মজিদ বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছেন, শিশুদের অভিযুক্ত করে মিথ্যা অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। তাই অভিযোগকারিকে শাস্তি হিসেবে আটকে রাখা হয়েছিলো। পরে তাকে মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে থানা কম্পাউন্ডে আসা লোকজন এ ঘটনায় পুলিশের ভুমিকাকে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেছেন। এরফলে শিশু বা নিরীহ লোকজনকে এভাবে কেউ হয়রানি করার সাহস পাবে না।