ঢাকামঙ্গলবার , ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. সর্বশেষ
  2. উপজেলা

‘অপারেশন ক্লিনহার্ট’ দায়মুক্তি আইন বাতিল: হাইকোর্ট

প্রতিবেদক
কক্সবাজার আলো
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ৪:২৮ অপরাহ্ণ

Link Copied!

কক্সবাজার আলো ডেস্ক :
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ‘অপারেশন ক্লিনহার্ট’ নামে পরিচালিত অভিযানের কার্যক্রমকে দায়মুক্তি দিয়ে করা আইনটিকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আইনটিকে কেন সংবিধানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলটি জারি করেন ২০১২ সালের ২৯ জুলাই বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে ওই অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে ক্ষতিপূরণ দিতে ১০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়।
আইন, প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র সচিব, সেনা সদর দফতরের কমান্ডার ইন চিফ অব আর্মড ফোর্সেস ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে ছয় সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০০২ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘অপারেশন ক্লিনহার্ট’ নামে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলে। ওই অভিযানের কার্যক্রমকে দায়মুক্তি দিয়ে ২০০৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘যৌথ অভিযান দায়মুক্তি আইন, ২০০৩’ জারি করা হয়।
এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না ২০১২ সালের ১৪ জুন হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে প্রাথমিক শুনানি করেন আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক।
শুনানিতে ড. শাহদীন মালিক বলেন, বাংলাদেশ ১৯৯৮ সালে নির্যাতনবিরোধী আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে। ওই আইনের ১৪ ধারা অনুসারে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে কেউ নির্যাতিত হলে ও এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণ প্রদানে রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। ফিলিপাইনে এটা করা হয়েছে। ভারতের সুপ্রিম কোর্টও এ ধরনের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে অনেক রায় দিয়েছেন। যৌথ অভিযান দায়মুক্তি আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়।
রিট আবেদনকারী জেড আই খান পান্না বলেন, ওই আইনে বলা হয়, অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত কেউ কোনো আদালতে প্রতিকার চাইতে পারবেন না। কারও বিরুদ্ধে মামলা বা বিচার প্রার্থনা করা যাবে না। এটা সংবিধানের মৌলিকতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। নির্যাতিত হবে, খুন হবে কিন্তু প্রতিকার চাওয়া যাবে না এর চেয়ে কালো ও খারাপ আইন হতে পারে না। কোনো সভ্য দেশে এ ধরনের আইন থাকতে পারে না। বিচারবহির্ভূত যেকোনো হত্যাকা- আইনের শাসনের পরিপন্থী। এ কারণে আইনটি চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়।
দীর্ঘদিন পর রিট দায়েরের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও প্রস্তুতির জন্য কিছুটা সময় লেগেছে। পাশাপাশি সমমনা মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে ও সময়োপযোগিতা বিবেচনা করে রিটটি করা হয়।

আরও পড়ুন

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে: প্রধান উপদেষ্টা

সালাহউদ্দিন আহমদের ‘নাম ভাঙ্গিয়ে’ প্রতারণা, গুলশান থানায় জিডি

কক্সবাজারের ৪ থানার ওসি প্রত্যাহার

জাতীয় নাগরিক কমিটিতে কক্সবাজারের সুজা

কক্সবাজারে নতুন পুলিশ সুপারের যোগদান

‘জুলাই বিপ্লবে’ শহিদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগ চুপচাপ বসে থাকবে না, সতর্ক করলেন প্রধান উপদেষ্টা

মা হলেন দীপিকা পাড়ুকোন

শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে

রামুতে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে মসজিদ ও মন্দিরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সংযোগ চালু

বাংলাদেশে ওয়ানপ্লাস-এর প্রথম ফ্ল্যাগশিপ স্টোর উদ্বোধন

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা প্রত্যাহার