এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে আসন্ন ঈদুল আযহা তথা কোরবানীর ঈদকে ঘিরে ঈদ বাজার ফের জমে উঠতে দেখা যায়। তবে ফুটপাত ব্যবসায়ীরা বেশ সুবিধা জনক অবস্থানে রয়েছে। জানা যায়, জেলা সদরের বহুল আলোচিত বাণিজ্যিক নগরী ঐতিহ্যবাহী ঈদগাঁও বাজারের ডজনাধিক মার্কেটে ব্যবসায়ীরা কোরবানীর ঈদ বাজারে বিকিকিনির লক্ষ্যে লাখ লাখ টাকার পূঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করে। কিন্তু এসব মালামাল দিয়েও উল্লেখযোগ্য হারে ক্রেতার সমাগম না ঘটায় অনেক ব্যবসায়ীদের চোখে মুখে হতাশার কালোছায়া দেখা যাচ্ছে। আবার অনেকে লোন কিংবা ধার করা অর্থ নিয়ে ব্যবসা করলেও তারাও এখন বেশ চিন্তায় রয়েছে। তার পাশাপাশি বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে ঈদগাঁও বাজারের প্রধান ডিসি সড়কের পার্শ্ববর্তী স্থানে অবস্থান নেওয়া ফুটপাত ব্যবসায়ীরা রয়েছে। তারা অল্প দামে গ্রাহকদের কাছে প্রয়োজনীয় কাপড়পত্র দিতে পেরে মহাখুশিতে উৎফুল্ল। ১৫ সেপ্টেম্বর আজকের কক্সবাজারের এ প্রতিনিধি বাজার পরিদর্শনকালে দেখা যায়, বাজারের পশ্চিম গলি খ্যাত বেদার মার্কেটে মোটামুটি ক্রেতার সমাগম দেখা গেছে। সে সাথে শফি সুপার মার্কেট, নিউ মার্কেট, রহমানিয়া মার্কেট, হাজি মার্কেটসহ নানা মার্কেটে মোটামুটি ক্রেতার সংখ্যা চোখে পড়লেও অনেক ক্রেতা জিনিসপত্রের দাম নিয়ে বেকায়দায় রয়েছে। বেদার মার্কেটের ব্রান্ডসু’র সত্বাধিকারী সুমন কান্তি দে’র মতে, বিকিকিনি মোটামুটি ভালই যাচ্ছে। অন্যদিকে বেশ কয়েক স্বর্ণের দোকান ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তারা হতাশ কন্ঠে এবারের ঈদ বাজারে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা ভাব বলে জানান। তবে ঈদগাঁও বাজারের বড় বড় কাপড়ের ব্যবসায়ীরা ঠিক বরাবরের মতই প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। কয়েকজন গ্রামাঞ্চলের লোকজনের সাথে কথা হলে তারা ভাই এখন ঈদের নতুন জামা-কাপড় কিনা তো দূরের কথা, ঠিকমত কোরবানীর পশুও মিলাতে পারছি না। আগে কোরবানীর পশু ক্রয়, পরে অন্যকিছু বলে হাস্যোজ্জ্বল কন্ঠে জানান।
মোবাইল : ০১৮১৯-০৩৬৪৬০, ০১৭১২-২১৫৫৪৭. ই-মেইল : coxsbazaralo@gmail.com