এম. আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও :
বর্ষা উত্তর অল্প গরমে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে লোডশেডিংয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে। জানা যায়, সদর উপজেলার গুরুত্ববহ এলাকা বৃহত্তর ঈদগাঁওতে সাম্প্রতিক সময়ে পল্লী বিদ্যূতের লোডশেডিং যেন চোখে পড়ার মত। একবার লোডশেডিং করলে কমপক্ষে ২/৩ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। এহেন বিদ্যুৎ নিয়েই চলে বাজারের ব্যবসায়ী সমাজ। ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা ঈদগাঁও বাজারে দৈনিক লাখ লাখ টাকার ব্যবসা বাণিজ্য হলেও এখানকার ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে টেনশনে ভুগছেন দিনের পর দিন। এই লোডশেডিং সমস্যা থেকে কবে মুক্তি পাবে ব্যবসায়ী সহ নানা শ্রেণীর লোকজন। এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে গ্রাহকদের মাঝে। এছাড়া লোডশেডিং শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরাসহ শিক্ষার্থীরা। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে কম্পিউটার, ফটোকপি, প্রিন্ট, নানা ব্যবসা বানিজ্য, স-মিল সহ নানা কলকারখানা চালাতে ভোগান্তি চরমে পৌছেছে স্ব স্ব ব্যবসায়ীদের মাঝে। এদিকে বৃহত্তর এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়ীতে লোডশেডিংয়ের কারনে ফ্রিজে রক্ষিত খাদ্যদ্রব্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে নান হাসপাতালে ফ্রিজে রাখা দামী দামী ঔষধপত্রাদি নষ্টের পথে বলে একাধিক সূত্রে প্রকাশ। আবার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা চার দেয়ালের মাঝে গরমে হাবুডুবু খাচ্ছে। বেশ ক’জন গ্রামাঞ্চলের গ্রাহকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে এ প্রতিনিধিকে জানান, বিদ্যুতের ভেল্কিবাজী নিয়ে নানা সমস্যায় পড়তে যাচ্ছি। এদের থেকে মুক্তি পাওয়ার কোন ব্যবস্থা আছে কি? এমনকি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে গুরুত্বপূর্ণ মেশিনারী জিনিসপত্র বিদ্যুতের কারণে নানা সমস্যায় সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা যায়। এলাকার সচেতন মহলের প্রশ্ন, সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ছয় ইউনিয়নে বিদ্যুৎ লোডশেডিং নিয়ে বিপাকে গ্রামাঞ্চলের লোকজন। তারপর ও মরার উপর খাঁড়ার ঘা হিসাবে বিদ্যুৎ বিল নানা কারণে বেড়েছে বলেও একাধিক লোকজনের অভিযোগ। আবার, লক্ষ লক্ষ টাকার পুজি দিয়ে ঈদগাঁও’র ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে হিমশিম খাচ্ছে দারুনভাবে লোডশেডিং নিয়ে। অনতিবিলম্বে লোডশেডিং বন্ধ করার আহবান বিশাল এলাকাবাসীর। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ ঈদগাঁও অফিসের কন্ট্রোল রুমের নির্ধারিত মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।