বিশেষ প্রতিবেদক :
কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের দু’কর্মকর্তা উপ-পরিচালক শওকত কামাল ও প্রধান সহকারী আবুহেনা মোস্তফা কামালের লাগামহীন দুর্নিতী ও অফিসের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্বে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১ টা থেকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম সারাদিন কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে অভিযোক্তদের ব্যাপারে বিভন্ন কিছু খতিয়ে দেখছেন এবং ডকুমেন্ট কালেকশন করছেন। তিন সদস্য তদন্ত টিমের প্রধান ছিলেন চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক আবুসাইদসহ আরো দুই উধ্বতন কর্মকতা।
তবে দিন শেষে তদন্তের বিষয়ে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা আবুসাইদ জানান, এখনও তদন্ত সম্পুর্ণ শেষ হয়নি। আপনারে পরে জানানো হবে বলে বিষয়টি এড়িয়ে চলে।
দেখা যায়, চট্টগ্রাম থেকে আগত তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অবস্থনা করেছিল সারাদিন। এসময় চট্টগ্রাম থেকে আগত তদন্ত টিমের প্রধান কর্মকর্তা আবুসাইদ বিভিন্ন পাসপোর্ট প্রার্থীদের সাথে কথা বলেন। কার কি সমস্যা আছে তা চিহ্নিত করেন এবং সমস্যা গুলি তিনি সমধান করার আশ্বাস প্রধান করেন।
তাছাড়া এ সময়ে বিভিন্ন ভুক্তভোগীরাও তদন্ত কর্মকতাকে পাসপোর্ট অফিসের বিশেষ করে উল্লেখিত দু’কর্মকর্তার বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নিতীর বিষয়ে অবগত করেন। তাছাড়া চিহ্নিত কয়েকজন দালালের ব্যাপারেও অবহিত করেন।
উল্লেখ্য কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রকাশ্যে সরাবছর চলছে ঘুষের টাকার লেনদেন। যার কারণে বিদেশগমণ ইচ্ছুক সাধারন মানুষ পাসপোর্ট করতে গিয়ে সারাবছর ভুগান্তীতে শিকার হতে হচ্ছে। টাকা দিলেও মিলছেনা পাসপোর্ট নামের সোনার হরিন বস্তুটি। আর এই দুর্নিতীর মূল কারিগর পাসপোর্ট অফিসের প্রধান সহকারী আবুহেনা মোস্তফা কামাল ও উপ-পরিচালক শওকত কামালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে অব্যাহত প্রতিবেদন, মানববন্ধন হলেও এখনও তারা বহাল তবিয়তে। পরিশেষে ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন ডকুমেন্টের আলোকে ওই দু’ই কর্মকর্তা ও অফিসের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্বে তদন্ত শুরু করেছে।
মোবাইল : ০১৮১৯-০৩৬৪৬০, ০১৭১২-২১৫৫৪৭. ই-মেইল : coxsbazaralo@gmail.com