শুক্রবার , ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলাম
  7. এক্সক্লুসিভ
  8. কক্সবাজার
  9. করোনাভাইরাস
  10. খেলাধুলা
  11. জাতীয়
  12. জেলা-উপজেলা
  13. পর্যটন
  14. প্রবাস
  15. বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি

কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ছাত্রলীগ নেতার দ্বীতীয় খোলা চিঠি

প্রতিবেদক
কক্সবাজার আলো
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৫ ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ

বরাবরে,
সভাপতি
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ,
কেন্দ্রীয় কমিটি।
মাননীয় নেত্রী
গত বারে আপনার নিকট একটি খোলা চিঠি লিখেছিলাম, জানি না আপনার নিকট আমার বার্তা পৌচেছে কিনা, গত বারের চিঠি খানাতে কিছু তর্থ্য জানিয়েছিলাম, এই চিঠিতে ও কিছু তর্থ্য জানাতে চায়,মাননীয় নেত্রী, কক্সবাজারের রাজনীতির অঙ্গনে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের কমিটির বেশ গুঞ্জন চলছে। বিগত বারে বছর ধরে জেলা আওয়ামীলীগের কমিটি হচ্ছে না বলে বয়স্কদের হাতে আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব আর বয়সের ভারে জরাজীর্ণ বর্তমান কক্সবাজারের আওয়ামীলীগ।
মাননীয় নেত্রী জানাচ্ছি গত বছর জেলাব্যাপী জামায়েত শিবিরের চিহ্নিত ক্যাডাররা আরজকতা, হামলা, পিকেটিং, সন্ধ্যা হলে শিবিরের ককটেল হামলা সহ বিভিন্ন রকম নাশকাতা চলছিল ঠিক তখন কক্সবাজারের বয়স্ক নেতাগন অনেকটা ঘরকোনা হয়ে গিয়েছিলো, তখন আমাদের দেখা প্রায় নেতাগন ভয়ে আওয়ামীলীগ জেলা অফিসে আসা বন্ধ করে আওয়ামীলীগ প্রায় বয়সের ভারে জরাজীর্ণ ছিল।
মাননীয় নেত্রী প্রায় এক মাস শিবিরের জেলা ব্যাপী তান্ডবের ভয় সব বয়স্কনেতাগণ রাজপথ ছেড়ে হাল ছেড়ে বসে।মাননীয় নেত্রী সেসময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কতৃক কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হলে সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয় ও সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান রাশেদ ঢাকা থেকে কক্সবাজার আগমন উপলক্ষে প্রায় লক্ষাধিক ছাত্র জনতা বিশাল শো ডাউন হলে হটাৎ করে শত শত ছাত্রজনতার রাজপথে সক্রিয় হলে এবং প্রায় হরতাল, অবরোধে রাজপথে কক্সবাজারের জেলা ছাত্রলীগের অবস্থান শুরু হলে কক্সবাজার শহরের শিবিরের ঘাঁটিখ্যাত ভোলাবাবুর পেট্রোল পাম্প, এলাকা ও হাসপাতাল এলাকা থেকে পিকেটিং রত
শিবির ক্যাডারদের ইশতিয়াক আহমেদ জয়-ইমরুল রাশেদের নেতৃত্বে বেশ কিছু বার ধাওয়া দেওয়া হলে শহর থেকে শিবির অনেকটা নিচিহ্ন হলে ও রাজপথ অনেকাংশ নিরাপদ হলে ফের আওয়ামীলীগের বয়স্ক নেতাগন রাজপথ ও অফিসে সমাগম করে।
মাননীয় নেত্রী আপনার নিকট জেলার ছাত্র সমাজ,যুব সমাজ ও তৃনমূল আওয়ামীলীগ নেতাদের পক্ষ থেকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি আর কোন বয়স্কনেতাদের হাতে জেলা আওয়ামীলীগের দায়িত্ব তুলে দিবেন না। যারা তৃনমূলের খবর রাখেন না, যারা যুব সমাজের খবর রাখে না, যারা
বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের খবর রাখেন না, সুখ, দুঃখে পাশে দাড়ান না। মাননীয় নেত্রী, তৃনমূল আওয়ামীলীগ নেতাগন,যুব নেতাগন ও ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে আবারো এক খানা বার্তা পৌছে দিতে চায়। কক্সবাজার শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি  মুজিবুর রহমান চেয়্যারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী সদস্য যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান রাশেদুল ইসলাম সমন্বয়ে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের কমিটি উপহার দিন। কক্সবাজারের নেতাকর্মীদের সুস্ট রাজনীতির সুযোগ করে দিন। মুজিবুর রহমান সব সময়ে রাজপথে থেকেছেন নেতাকর্মীদের খবরা,খবর নিয়েছেন, মাননীয় নেত্রী আপনি নিশ্চয় জানেন ৯৬ সাল পরর্বতী সময়ে কক্সবাজারের দুই একটি আওয়ামী পরিবারের মধ্যে অনত্যম ছিল প্রখ্যাত আইনজীবী জহিরুল ইসলামের পরিবার যার সুযোগ্য সন্তান রাশেদুল ইসলাম।
তৎকালীন সবকটি আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শহরের জামায়েত, শিবির কে নিচিহ্ন করতে অন্যতম ভূমিকা রেখেছিলেন।
মাননীয় নেত্রী, সেসময় জামাত-শিবির কতৃক রাশেদুল ইসলাম কে দমিয়ে রাখতে না পেরে তার অন্যতম সহ যোদ্ধা ডালিম বড়ুয়ার ছোট ভাই তৎকালীন ছাত্রনেতা সুজন বড়ুয়াকে নির্মমভাবে হত্যার মাধ্যমে এক ধরণের প্রতিশোধ গ্রহন করে।
মাননীয় নেত্রী, দুঃখজনক হলে সত্যি ছাত্রলীগ নেতা সুজন বড়ুয়া হত্যার অন্যতম আসামী জাকির মুস্তাফা বর্তমান সময়ের আওয়ামী হাইব্রিড নেতাদের আশ্রয়ে আওয়ামী অঙ্গ সংগঠনের নেতা বুনেছিল। সম্প্রতি দুষ্কিতকারীর হাতে জাকির মুস্তাফা নিহত হয়।
নেত্রী একটিবার ভেবে দেখুন কতটা ফরমালিনের বিস্তার ঘটলে ছাত্রলীগ নেতার হত্যাকরী আওয়ামী সংগঠনের পতকাতলে স্থান পায়। মাননীয় নেত্রীর নিকট অনুরোধ এই যে তরুণ নেতৃত্বের হাতে জেলা আওয়ামীলীগের দায়ভার প্রধান করে তৃনমূল, যুব সামাজ,ছাত্রসমাজ কে বাঁচাতে সহযোগীতা করুন।
ইতি :-
ইব্রাহীম আজাদ বাবু
সাবেক সহ- সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কক্সবাজার জেলা শাখা।

সর্বশেষ - কক্সবাজার

https://coxsbazaralo.com/