বৃহস্পতিবার , ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | ১১ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলাম
  7. এক্সক্লুসিভ
  8. কক্সবাজার
  9. করোনাভাইরাস
  10. খেলাধুলা
  11. জাতীয়
  12. জেলা-উপজেলা
  13. পর্যটন
  14. প্রবাস
  15. বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি

জিটিভি’র ঈদের বিশেষ বিরতিহীন ধারাবাহিক ‘ফাঁদ’

প্রতিবেদক
কক্সবাজার আলো
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫ ৯:০৪ অপরাহ্ণ

বরিশাল থেকে কুকুর হত্যার দায় মাথায় নিয়ে পালিয়ে লঞ্চযাত্রী হয়ে ঢাকা আসছে মজনু। ঢাকায় আসতে গিয়ে তার অপরাধের তালিকায় আরো একটি মাত্রা যোগ হয় তাহলো সে লঞ্চের ভাড়া দেয়নি। সে ঢাকায় পৌছে সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকে কেউ জেনে গেলো কি তার অপরাধী কর্মকান্ড সম্পর্কে। যার প্রভাব পড়ে তার চলন-বলনে। ব্যাপারটা খুব ভালোভাবেই চোখে পড়ে কাবেরের।
অন্যদিকে ফকু, মজনুর নিকট আত্মীয় হলেও দীর্ঘসময় ধরে সে ঢাকায় থাকে। প্রফেশনালী সে পকেটমার। ফকু পকেটমেরে পালিয়ে যাওয়ার সময় পাবিলক তাকে ধাওয়া করে। ফকু পালিয়ে যেত পারলেও খুব আকস্মিক ভাবেই কোন কিছু না জেনে না বুঝে ধরা খায় মজনু। এরই মধ্যে উদ্ভব হয় বগা নামের একজনের যে ভীড়ের মাঝে মজনুর ব্যাগ নিয়ে সরে যায়। ঠিক এ সময় ছুটে আসে কাবের। কাবের সবকিছু ম্যানেজ করে নেয়। নানা ঘটনা পেরিয়ে তারা আশ্রয় নেয় ফকুর বাস স্থানে। মজনু, ফকু ও কাবের হয়ে যায় একে অপরের বন্ধু। শুরু হয় তাদের চাঁপাবাজি আর উদ্ভট কর্মকান্ড দিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই। তাদের চোখে লাখ টাকার স্বপ্ন। আর সে স্বপ্নের কাছাকাছি তাদের পৌছে দিতে মজনুর সাথে পরিচয় হয় জালটাকার ব্যবসায়ী ফরিদের। মজনু কাচা টাকার গন্ধে ভুলে যায় তার অতীত। সে আকশ-কুসম স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।
এদিকে ওদের বাড়িওয়ালার মেয়ে নীতু প্রফেশনালি প্রেমিকা। ধনী- বিত্তবান ছেলেদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে টাকা পায়সা হাতিয়ে নেয়াই তার কাজ। তিন বন্ধুই নীতুর প্রেমে হাবুডুবু খেলেও টাকার দৌড়ে মজনু এগিয়ে যায়। পাশাপাশি নানা ফন্দিফিকিরি করে বাড়িওয়ালার কাছে মজনু নিজেকে সুপাত্র বলে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়।
হঠাতই একদিন বাড়িওয়ালা বাড়ি বিক্রি করে দেবে এই খবর শুনতে পেয়ে তিনজনেই খুব উচ্ছ্বসিত। বাড়িওয়ালার কাছে তারা প্রস্তাব করে যে তারা এই বাড়িটা কিনতে চায়। বাড়িওয়ালা সানন্দে রাজি হয়ে যায়। বাড়িওয়ালার সাথে টাকার লেনদেন হয়ে যায়। একদিকে যেমন টাকা গুলো ছিলো জাল অন্যদিকে বাড়িওয়ালা নামধারী লোকটা আসলে এই বাড়ির আসল মালিক না। বাড়ি ওয়ালা টাকা ও নীতুকে নিয়ে উধাও। অন্যদিকে এই বাড়ির মালিকানা পাওয়ার জন্য ওঁত পেতে বসে আছে ফরিদ।
মজনু বুঝতে পারে টাকাগুলো জাল হলেও নীতুর প্রতি তার যে ভালোবাসা তাতে কোন খাদ নাই। সব বুঝেও আর কিছুই করার নাই কারণ তারা একটার একটা পরিকল্পিত ফাঁদে পা রেখেছে। এখানেই ফাঁদের শেষ না। ঘটনাক্রমে জানা যায় কাবের, বগা ও বাড়ির দারোয়ান সবাই সিআইডির লোক।
বাড়িওয়ালা, নীতু ও ফরিদ সবাই ঠিকঠাক সময়মতো নিজেদেরকে সরিয়ে নিলেও ধরা পুলিশের হাতে ধরা পরে মজনু ও ফকু। যারা কিনা পেটের দায়ে ছোট খাটো অপরাধের সাথে যুক্ত ছিলো। কিন্তু সমাজের চারদিকে অসংখ্য বড় বড় অপরাধী আছে যারা অনেক বড় বড় অপরাধ করেও পুলিশের সামনে দিব্বি ঘুড়ে বেড়ায় কিন্তু কিছুই হয়না তাদের। কাবের অপরাধ সুধরানোর সুযোগ দেয় ফকু ও মজনুকে। সবশেষে এটাই প্রমান হয় যে অপরাধ যত ছোটই হোক সেটা আইনের উর্ধে নয়।
আসাদুজ্জামান সোহাগের গল্প ও চিত্রনাট্যে এবং তুহিন হোসেনের পরিচালনায় নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- মোশাররফ করিম, আ.খ.ম হাসান, ফারুক হোসেন, ফারিয়া, মাজনুন মিজান, তারেক স্বপন, মারজুক রাসেল, সফিক খান দিলু ও আরো অনেকে।

ধারাবাহিকটি জিটিভির ঈদ আয়োজনে ঈদের দিন থেকে ৭ম দিন রাত ৮টা ৩০মিনিটে প্রচার হবে।

সর্বশেষ - কক্সবাজার

https://coxsbazaralo.com/