এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও :
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা (কোরবানীর ঈদ)কে টার্গেট করে জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সহজ-সরল ব্যবসায়ীরা পশু মোটা তাজা করণে এক ধরনের ক্ষতিকর (পামবড়ি) ব্যবহার করছে। রোগাক্রান্ত, কম ওজন ও কম বয়সী গরু, মহিষের দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এ ধরনের বড়ি খাওয়াচ্ছে। ফলে পশু এবং জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়ছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কোরবানীর পশুর হাটবাজারে বিকিকিনির জন্য আনা গরু দেখে এমন মন্তব্য প্রকাশ করেন সচেতন মহল। এমনকি সবর্ত্র এ অপতৎপরতা চলছে। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর মতে, পামবড়ি খ্যাত ভারত ও মিয়ানমার থেকে আসা হলুদ ও সাদা রংয়ের এক ধরনের খোলা বড়ি ব্যবসায়ীরা পশু মোটা তাজা করণে বেশী ব্যবহার করছে। দেশী-বিদেশী হরেক রকম এ পামবড়ির তালিকা রয়েছে। প্রতি বছর কোরবানির ঈদে এসব ঔষুধের চাহিদা বেড়ে যায়। আবার দেশীয় তৈরী বড়িগুলোর দাম একটু বেশী তাই ব্যবসায়ীদের কাছে বাইরে থেকে আসা খোলা বড়ির চাহিদা বেশী বলে জানা যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন গরু ব্যবসায়ীর মতে, মোটা এবং দেখতে সুন্দর হলেই কোরবানীর বাজারে এ পশুর দাম বাড়তি পাওয়া যায়। পামবড়ি খাওয়ালে গরু, মহিষ সুন্দর ও মোটা তাজা হয়ে যায়। কোরবানীর ঈদকে টার্গেট করে ব্যবসায়ীদের গরু মোটা তাজা করণের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। তবে সচেতন মহলের মতে, সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন পশুর হাটবাজারে পামবড়ি খাওয়ানো গরু-মহিষ দেদারছে বিক্রি হচ্ছে।