কক্সবাজার আলো ডেস্ক :
ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকার প্রিন্স হাসপাতালে দুই মাথা ও চার হাতওয়ালা এক শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। বুধবার রাত ১টার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক চলন্তিকা রানী সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে দুই মাথা বিশিষ্ট শিশুটি ভুমিষ্ট করান। শিশুটি ভুমিষ্ট হওয়ার পর প্রিন্স হাসপাতালে মায়ের সঙ্গে রয়েছে। শিশুর পিতা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চাপড়ি গ্রামের সাজেদুল মন্ডল ও মা শিলা আক্তার সুমি। সাজেদুল পেশায় একজন ট্র্যক্সি চালক। এটাই সাজেদুল-সুমি দম্পতির প্রথম সন্তান। সিজারিয়ান ডাঃ চলন্তিা রানী জানান, জন্মের পর থেকে শিশু ও মা উভয় সুস্থ আছে। তবে ২৪ ঘন্টা পার না হলে শিশুটির শারীরিক সুস্থতা সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না বলে চিকিৎসক জানান। তিনি বলেন, তাদের সুস্থ রাখার জন্য চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। ঝিনাইদহের অভিজ্ঞ শিশু চিকিৎসক ডা. দুলাল কুমার চক্রবর্তী জানান, মায়ের গর্ভে যখন শিশুর ফার্টিলাইজ ও সেল ডিভিশন হয় তখন অঙ্গ প্রত্যাঙ্গের যে ভাবে বিভাজন হওয়া দরকার সে ভাবে না হলে এমন ডেভলপমেন্টাল ডিফেক্ট হতে পারে। এই শিশুটির ক্ষেত্রেও হয়তো তাই হয়েছে। এদিকে দুই মাথা বিশিষ্ট শিশু ভূমিষ্ট হওয়ার খবর বুধবার দ্রুত ঝিনাইদহ শহরে ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা শিশুটিকে এক নজর দেখতে প্রিন্স হাসপাতালে ভীড় জমায়। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমগীল হোসেন আলম জানান, জনতার ভীড় সামলাতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। উল্লেখ্য এর আগে ঝিনাইদহ শহরের শামিমা ক্লিনিক ও সদর উপজেলার হাটগোপালপুর এলাকায় দুই মাথা বিশিষ্ট দুইটি শিশু জন্ম গ্রহন করে। কিন্তু শিশু দুইটি তিন সপ্তাহের ব্যবধানে মারা যায়।