সাইফুদ্দীন মোহাম্মদ মামুন, টেকনাফ :
টেকনাফের অন্যতম নারী শিক্ষার প্রতিষ্ঠান মুহিউস”ছুন্না বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সদ্য বহিস্কৃত ভারপ্রাপ্ত সুপারের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন অভিযোগ অনিয়মের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে বহিস্কার করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি ভূয়া আইডি করে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে মানহানিকর, বানোয়াট মন্তব্য করে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, টেকনাফ লেঙ্গুরবিল মহি”ছুন্নাহ বালিকা মাদ্রাসার বহিস্কৃত ভারপ্রাপ্ত সুপার হেলাল আহমদ এর বিরুদ্ধে শিক্ষকদের কোচিং ফির টাকা বন্টনে আত্মসাত,স্বজনপ্রীতি, আত্মীয়করন, নারী লোলুপতা, ছাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার, বশীকরন অপচেষ্টা, চরিত্রহীনতার চেষ্টা, ক্লাস ফাঁকিসহ নানা অপকীর্তি ও অপকর্মের জন্য অভিভাবক ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্য থেকে ভরপুর অভিযোগ আসতে থাকলে তাকে অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে অপসারণ ও কর্তৃপক্ষ তাকে বিতাড়িত করে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে পিতার মাদ্রাসা উখিয়ার সোনার পাড়া মাদ্রাসা থেকে বহিস্কৃত হয়ে হ্নীলা মৌলভী বাজার ক্যাডেট মাদ্রাসায় বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে সেখান থেকে বহিস্কৃত হয়ে পরবর্তীতে মহিউ”ছুন্না মাদ্রাসায় এসে বর্ণিত অপরাধে বহিস্কৃত ও বিতাড়িত হয়। উল্লেখ্য যে, সুন্নীয়তের বোরকা পড়ে বিতর্কিত কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সে বিষয়ে সুন্নী জামাআতকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তার কারনে প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থী চরম বেকায়দায় পড়েছে বলে জানা গেছে। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, বিতর্কিত ভারপ্রাপ্ত সুপার হেলাল আহমদের অসংলগ্ন আচরনের শিকার হয়েছে অনেকে। মাদরাসার বিতর্কিত এ ভারপ্রাপ্ত সুপার হেলাল আহমদ অপসারিত হওয়ায় অভিভাবকদের মাঝে স্বস্তি’ দেখা দিয়েছে। এদিকে ভারপ্রাপ্ত সুপার হেলাল অপসারিত হওয়ার পর সে ফেইসবুকে ফেক আইডি করে মাদ্রাসা সভাপতি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর কারণে তার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসার সেক্রেটারী ও সদর ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার মো: আলম। এ ব্যাপারে বহিস্কৃত হেলাল আহমদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।