এস.এম.ছগির আহমদ আজগরী,পেকুয়া :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল ১৮সেপ্টম্বর শুক্রবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম গোঁয়াখালী বটতলীয়াপাড়া এলাকা থেকে নিহতের লাশের সন্ধান পাওয়া যায়। সে ওই গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের পুত্র বলে পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়া তিনি স্থানীয় পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য এম. মনজুর আলমের বড় ভাই বলেও জানা গেছে। পারিবারিক সুত্র জানায়, গত ১৭সেপ্টম্বর বৃহষ্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইলে হঠাৎ একটি কল আসলে সে নিজ বসতঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। নিহত ব্যক্তি বাড়ি ফিরে আসায় তার পরিবার সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় তাকে হন্যে হয়ে অনেক খোঁজাখুজি করলেও কোন সন্ধান পাননি। এদিকে, গতকাল শুক্রবার দুপুরে নিহতের এক প্রতিবেশী পরিবারের এক কিশোর সেখানকার পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে নিহত বৃদ্ধা জাফরের লাশ পানিতে ভাসতে দেখে শৌর চিৎকার হৈ চৈ করলে প্রতিবেশী ও নিহতের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে এগিয়ে এসে পুকুর ঘাটের নিচে আটকে থাকা বৃদ্ধা জাফরের লাশের সন্ধান পেয়ে তা উদ্ধার করেন। এসময় উদ্ধারকারীরা নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত ও আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্যদের অবহিত করলে তারা তা পেকুয়া থানা পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন। নিহতের পারিবারিক সূত্র সাংবাদিকদের জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে তাকে রাতের বেলায় ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেন। এবং নিখোঁজের দিনই তাকে মধ্য রাতে হত্যা করে তাদের বসতবাড়ির পুকুরে লাশটি ফেলে রেখে যান বলে নিহতের বড় ছেলে মোঃ তারেক মন্তব্য করেন। এ ঘটনায় তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(প্রশাসন) মোঃ আবদুর রকিব লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী শেষে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি হত্যা না স্বাভাবিক কারনে তার মৃত্যূ হয়েছে বিষয়টি জানা যাবে মন্তব্য করে আরো জানান, ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশের হস্তগত হলে পরবর্তী আইনগত ব্যাবস্থা নেবে পুলিশ। তবে, এখনো পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন লিখিত অভিযোগও পায়নি পুলিশ।