কক্সবাজার আলো ডেস্ক :
২০১৪-১৫ অর্থ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমান ২ লাখ ৭ হাজার ২৬৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য নুরজাহান বেগমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মহিতের পক্ষে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান এ তথ্য জানান।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ১১টি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশের কাছ থেকে নেয়া বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের (পাবিলক সেক্টর) স্থিতির পরিমান ২৫ হাজার ৯০৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি অর্থে যার পরিমান ২ লাখ ৭ হাজার ২৬৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বৈদেশিক এ ঋণের পরিমান হিসাব করে দেখা যায়, বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিচু ঋণের পরিমান ১৩ হাজার ১৬০ টাকা।
বৈদেশিক ঋণের মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) পায় ৬১ হাজার ৮৫০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। চীনের কাছে ঋণ ৭ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা। আইডিএ (বিশ্বব্যাংক) পায় ১ লাখ ২ হাজার ৩৪৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
আইডিবি পায় ৩ হাজার ৩৫৮ কোটি ২১ লাখ টাকা। ডেনমার্ক পায় ৮৬৯ কোটি টাকা। জাপান ১৯ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ভারত ১ লাখ ৬৫৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। দক্ষিণ কোরিয়া পায় ২ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। কুয়েত পায় ১ হাজার কোটি টাকা এবং ইফাদ পায় ২ হাজার ৯৩৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম ওয়াসিকা আয়শা খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থপ্রতিমন্ত্রী জানান, বকেয়া স্থিতিসম্পন্ন খেলাপি ক্রেডিট কার্ড হিসাবের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপির সংখ্যা ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮১ জন।
সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে অর্থপ্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান জানান, দেশে ব্যাংকিং কার্যক্রম তফসিলি ও অতফসিলি ৬২টি ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালনা হয়ে থাকে। এর মধ্যে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা ৫৬টি ও অতফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা ৬টি। ৫৬টি তফসিলি ব্যাংক সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন।
বেসরকারি বিনিয়োগ না বাড়ায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশে সীমাবদ্ধ
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম লুৎফা তাহেররের প্রশ্নের জবাবে অর্থপ্রতিমন্ত্রী মান্নান জানান, বেসরকারি খাতের বিকাশ উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা সত্ত্বেও বেসরকারি বিনিয়োগ কাঙ্ক্ষিত হারে বাড়েনি। বেসরকারি বিনিয়োগ ২০০৯-১০ অর্থ বছরে জিডিপি ছিল ২১ দশমিক ৬ শতাংশ, যা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ২০০১৪-১৫ অর্থবছরে জিডিপি ২২ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েয়েছে।
দেশের মোট বিনিয়োগের ৭৬ শতাংশের বেশি আসে ব্যক্তিগত খাত থেকে। ফলে বেসরকারি বিনিয়োগ আশানুরূপ হারে না বাড়ায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেসরকারি বিনিয়োগ না বাড়ায় জিডিপি ৬ শতাংশে সীমাবদ্ধ আছে।