এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও :
থেমে থেমে বৃষ্টিপাত আর বারবার বন্যার কবলে পড়ে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারসহ আশপাশের ছোট ছোট বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে মন্দা চলছে। তারপরেও রাখে আল্লাহ মারে কে অবস্থায় কোন রকম কষ্টের বিনিময়েও তাদের নিজ নিজ ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। জানা যায়, দক্ষিণ চট্টলার অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের লোকজন নানা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে এ বাজারে আসে। অথচ ভারী ও হালকা বৃষ্টিপাত এবং পঞ্চমবারের মত বন্যায় ছোটবড় ব্যবসায়ীদের মাঝে দেখা দিয়েছে করুণ দশা। বারবার বন্যার আঘাতে ঈদগাঁওর ব্যবসায়ীরা আঘাতপ্রাপ্ত বলে জানান অনেকে। ঈদগাঁও বাজারের একাধিক ব্যবসায়ীরা অন্যান্য সময়ে ব্যবসায়িক জীবনে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠলেও কিন্তু বৃষ্টিপাত আর বন্যার কারনে তাদের চোখে মুখে হতাশার কালো ছায়া দেখা দেওয়ার পাশাপাশি মন্দাভাব চলছে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে। বাজারে নেই কোন উল্লেখযোগ্য ক্রেতা সমাগম। একের পর এক ঈদগাঁও বাজারে বন্যার পানি ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে। যে ক্ষতি কখনো পুষিয়ে উঠা সম্ভব নয়, একবারের বন্যায় বাজারে বিভিন্ন দোকানপাটে পানি প্রবেশ করার ফলে লাখ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হলেও পঞ্চম দফা বন্যায় কত লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হবে তার হিসাব ও কেউ মিলাতে পারছে না। পঞ্চমবারের মত বন্যার পানিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া ঈদগাঁও বাজারে দেখা যায়, শুধুমাত্র খাবার হোটেল, ফার্মেসী ও হাসপাতাল ছাড়া অধিকাংশ দোকানপাট বৃষ্টিপাতের কারনে বন্ধ রাখতে হচ্ছে। বর্তমানেও বাজারের দক্ষিণপার্শ্বস্থ দোকানপাটে পানিবন্দী বললেই চলে। যার ফলে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে না পারায় মহা বিপাকে পড়তে দেখা যায়। বিভিন্ন মার্কেটে আসন্ন ঈদুল আযহা তথা কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে লাখ লাখ টাকার নিত্য নতুন মালামাল এনেও তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যবসা-বাণিজ্য করতে না পারায় হতাশায় ভুগছে। অথচ ঐতিহ্যবাহী ঈদগাঁও বাজার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব আদায় হলেও বাজার উন্নয়নে তেমন কারো মাথাব্যাথা নেই বলে জানান ব্যবসায়ী সহ সচেতন মহল। এ নিয়ে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন। সব মিলিয়ে বারবার বন্যার আঘাতে বিধ্বস্থ হয়ে পড়া ঈদগাঁও বাজারের ব্যবসায়ীরা রাখে আল্লাহ মারে কে অবস্থায় ঘুরে দাড়াতে চাইলেও পারছে না কোনভাবেই।
