রবিবার , ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলাম
  7. এক্সক্লুসিভ
  8. কক্সবাজার
  9. করোনাভাইরাস
  10. খেলাধুলা
  11. জাতীয়
  12. জেলা-উপজেলা
  13. পর্যটন
  14. প্রবাস
  15. বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি

বিনোদনের আরেক আকর্ষনীয় পর্যটন স্পট “ঈদগাও রাবারড্যাম”

প্রতিবেদক
কক্সবাজার আলো
সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫ ১২:১৯ অপরাহ্ণ

এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে ভ্রমণ পিপাসুদের বিনোদনের আরেক আকর্ষণীয় স্পটে পরিণত হয়ে পড়েছে ঈদগাঁও রাবারড্যাম। এ রাবারড্যামের আশপাশ ঘিরে হরেক রকমের গাছ গাছালি আর নানা রকম ফুলে ভরপুর হয়ে উঠায় এ নান্দনিক রাবারড্যামের সৌন্দর্য্য আরো দ্বিগুণ আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ বিনোদনের এ স্পটে নেই লাইটিং ব্যবস্থা।
দেশে প্রথম স্থাপিত ঈদগাও রাবার ড্যামের সুফল ভোগ করছে পাঁচ সহস্রাধিক কৃষক। বছরে দু’ মৌসুমে চাষাবাদ করে কৃষকরা উপকৃত হচ্ছে। কিন্তু শুস্ক মৌসুমে কৃত্রিম পানি সংকটে পড়তে হয়। তবে নদী খনন করে শাসন সংরক্ষনে কাজ করা হলে এ সংকটও থাকবেনা বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত। এছাড়া রাবারড্যামকে ঘিরে গড়ে উঠেছে আকর্ষনীয় পর্যটন স্পট। সুশোভিত ফুল বাগান ও পানির গড় গড় আওয়াজ উপভোগ করতে অনেকেই এখানে বিনোদনের নামে কাটান কিছু সময়। সূত্রে প্রকাশ, দেশে সর্বপ্রথম দু’টি রাবারড্যাম নির্মিত হয়। এর মধ্যে একটি কক্সবাজার সদরের ঈদগাও নদীতে এবং অপরটি একই উপজেলায় বাকখালী নদীতে। ১৯৯৫ সালের শেষের দিকে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। পরবর্তী বছর অর্থাৎ ১৯৯৬ সালে উদ্বোধন হয়। আগে ছিল বালির বাধ দিয়ে নদীতে পানি বন্দী করে সেচের কাজ। তাও মাত্র এক মৌসুম করা যেতো। রাবারড্যাম নির্মানের পর হতে চিরস্থায়ী নতুন প্রযুক্তিতে রাবার ফুলিয়ে পানি বন্দী করে অনায়াসে দু’ মৌসুম চাষ করা হচ্ছে। এলজিইডির আওতাধীন এ রাবারড্যামের শুরুতেই এখনো পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন এক জনপ্রতিনিধি। জানা যায়, ১৯৯৭ সালে রাবারড্যামের সুফল-কুফল সম্পর্কে এলজিইডির ঢাকাস্থ আগারগাওয়ের প্রধান কার্যালয়ে এক সভায় দেশের প্রতিনিধি হিসেবে ঈদগাও রাবারড্যামের সুফল সম্পর্কে চীনা প্রতিনিধি দলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখার পর সন্তুষ্ট হয়ে চীন আরো বেশ কয়েকটি রাবারড্যাম অনুমোদন দেন। পরে দেশী বিদেশী সহায়তায় পর্যায়ক্রমে বিভিন্নস্থানে একাধিক রাবারড্যাম নির্মিত হয়েছেও হচ্ছে। ঈদগাও রাবারড্যামের অধীনে বর্তমানে ঈদগাও, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, চৌফলদন্ডী ও পোকখালীর একাংশ মিলে আড়াই হাজার একরের বেশী ইরি বোরো ধানের চাষ করা হচ্ছে। একাধিক কৃষকদের মতে, সুষ্টুভাবে তারা তাদের জমিতে পানি পাচ্ছে। এর একমাত্র কারন হচ্ছে আধুনিক মানের এ রাবারড্যাম। নদীর উজানে তামাক চাষে অতিরিক্ত পানি ব্যবহার এবং বনাঞ্চলে গাছ কাটার ফলে মাটি এসে নদী ভরাট সহ বিভিন্ন সমস্যায় ঈদগাও নদী। এ নদীকে বাঁচাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সুদৃষ্টি চেয়েছেন কৃষককূল। স্থানীয় লোকজনের মতে, রাবারড্যামকে ঘিরে এলাকাটি পর্যটন স্পটে পরিণত হয়েছে। ঈদসহ নানা মৌসুমে বৃহত্তর ঈদগাঁওর প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের লোকজন রাবার ড্যামের সৌন্দর্য্য অন্ততঃ একবার হলেও দেখতে আসে। দেশী বিদেশী বাহারী ডিজাইনের ফুল বাগান সর্বমহলের দৃষ্টি কাড়ে সহজেই। কিন্তু রাবারড্যামের দু’ পাড়ে লাইটিং নেই। রাবারড্যাম সংশ্লিষ্টদের আরো দায়িত্ববান ও পাহারাদারদের ভূমিকা জোরদার করা জরুরী মনে করেন সচেতন মহল।

সর্বশেষ - কক্সবাজার

https://coxsbazaralo.com/