মহেশখালী প্রতিনিধি :
মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালীতে পিতার কু-দৃর্ষ্টির শিকার নিজ গর্ভের ঔরসজাত কন্যা-লম্পট পিতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। দীর্ঘ ৪/৫ মাস পুর্বে থেকে সকলের অজান্তে নিজ গর্ভের কন্যাকে জোরপুর্বক লম্পটি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে একপর্য্যায়ে প্রতিবেশীর কাছে জানাজানি হলে শেষ পর্যন্ত আইনের কাঠগড়ায় পৌছেঁছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্যমতে, মনুমিয়া সিকদারপাড়া এলাকার মৃত আমীর আলীর পুত্র আমির হোছেন দীর্ঘ কয়েক মাস পুর্বে থেকে ঔরসজাত কণ্যা (রাশেদা বেগম) কে লম্পটি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায় কারনে নিরুপায় হয়ে রাশেদা বেগম চট্রগ্রাম গার্মেন্স চাকরিতে চলে যায়। তখন লম্পট পিতা নিজসত্বীয় ২ কড়া জায়গা বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে সেও চট্রগ্রাম মেয়ের কাছে চলে যায়। পরে সেখান থেকে মেয়ে আবারো বাড়িতে চলে আসে তার সাথে সাথে লম্পট পিতা ও বাড়িতে চলে আসে। তৎসময় এলাকায় জানাজানি হলে গেল শুক্রবার এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা মসজিদ মাঠে শালিশী বৈঠকে মিলিত হন।
রাশেদা বেগম বাদী হয়ে লম্পট পিতা আমির হোছেনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মহেশখালী থানার এসআই নির্মল সহ একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে মনুমিয়া সিকদারপাড়াস্থ নিজ বাড়ি থেকে আমির হোছেনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টার দিকে আমির হোছেনকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনার পর বাদী রাশেদ বেগম ও আসামী আমির হোছেনের জবানবন্দী মতে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় থানা পুলিশ আমির হোছেনকে জেল হাজতে প্রেরন করেছে।
এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইকুল আহম্মেদ ভুইঁয়ার জানান, অভিযাগের ভিত্তিতে লম্পট আমির হোছেন কে আটকের পর দু’জনের জবানবন্দীতে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।