এ.এম হোবাইব সজীব :
মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নে পরকীয়া প্রেমের টানে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ২ সন্তানের জননী উধাও। পরে খবর পেয়ে প্রেমিক যুগলকে অবস্থান স্থল থেকে জনতা ধৃত করার পর স্থানীয় আদালতে সোপর্দ করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্যমতে, শাপলাপুর মুরুংঘোনা এলাকার সিরাজুল ইসলাম ১১ বছর পুর্বে একই এলাকার মোহাম্মদ ইসলামের কণ্যা মোবারেকা (৩০) কে শরীয়তের বিধি বিধান মতে বিবাহ সম্পন্ন করেন।
তারা দু’জনের সংসারিক জীবন ২টি সন্তান নিয়ে ভালই চলছিল। প্রথম সন্তান মাহিনুল ইসলাম (১০) বর্তমানে কোরআনে হাফেজ, দ্বিতীয় কণ্যা তাহিম সুলতানা (৮) সে ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। সংসারিক জীবন আরো উন্নত করার জন্য এখন থেকে ৪ বছর পুর্বে মোবারেকার স্বামী সিরাজুল ইসলাম সৌদিয়া আরব পাড়ি জমিয়েছে। সেখান থেকে স্ত্রী, সন্তান, পিতা-মাতা সহ পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য নিয়মিত টাকা পাঠায়। স্বামী প্রবাসী হওয়ার সুযোগে লম্পট স্ত্রী মোবারেকা বেগম শাপলাপুর বারিয়া পাড়া এলাকার আব্দুল হকের পুত্র ছৈয়দুল করিমের সাথে দৈহিক সর্ম্পক গড়ে তুলে অবৈধভাবে মেলামেশায় দু’জনই মগ্ন হয়ে যাই। তাদের অনৈতিক সর্ম্পকের বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক ভাবে জানাজানি হলে ছেলে-মেয়ের পক্ষদ্বয় ও এলাকার লোকজন নিষেধ করার পরে ও তারা আরো বেপরোয়া হয়ে যায়। তখন এলাকার লোকজন তাদের বেশী চাপ প্রয়োগ করলে একপর্য্যায়ে প্রেমিক ছৈয়দুল করিম ও দু’ সন্তানের জননী লম্পট মোবারেকা বেগম সন্তানদের বাড়িতে রেখে বাড়িতে থাকা ১০ ভরি স্বর্নালংকার, নগদ টাকা পয়সা ও কাপড় ছোপড় নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। এই যুগল প্রেমিক ষাইটমারা এলাকায় অবস্থানের খবর পেয়ে এলাকাবাসিঁ তাদের ধৃত করে স্থানীয় আদালত ইউনিয়ন পরিষদে সোপর্দ করে। স্থানীয় আদালত তাদের দু’জনের জবানবন্দী নিয়ে নিরাপত্তার খাতিরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে থানায় সোপর্দ করেন।
এ ব্যাপারে শাপলাপুর ইউপি চেয়ারম্যন নুরুল হক জানান, তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইকুল আহম্মেদ ভুইঁয়া বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে থানায় সোপর্দ করেছে তদন্ত পুর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।