কক্সবাজার আলো :
শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নতুন কৌশল করছে সরকার। তারা দেশের শক্র। কোনমতেই এদেশে রোহিঙ্গাদের ঢুকতে দেয়া যাবেনা। আইন শৃঙ্খলার অবনতিতে এদের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
মন্ত্রী ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজারে জেলা আইন শৃংখলা কমিটির বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন- রোহিঙ্গাদের সাথে কোন বাংলাদেশীর সম্পর্ক রাখা যাবেনা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, মানবপাচার ও মিয়ানমার সীমান্তে অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে কঠোরতা প্রদর্শন করতে হবে। অন্যথায় আইন শৃঙ্খলা ঠিক রাখা যাবেনা।
মন্ত্রী বলেন, যে সকল জনপ্রতিনিধি মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশেী জাতীয়তা সনদ দেবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৬ সালে শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে কক্সবাজারে প্রথম পর্যটন কেন্দ্র চালু করেন। আর জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনন এই পর্যটন নগরীকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরনে কাজ করছেন।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ড.অনুপম সাহার সভাপতিত্বে সভায় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক, জেলা পরিষদ প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী ও জেলা আ.লীগের সভাপতি এড. একে আহমদ হোসেনসহ পদস্থ সরকারী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর পরে মন্ত্রী শিল্প উদ্যোক্তা, লবন চাষী/মিল মালিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এ সময় লবন ব্যবসায়ীদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আর কোন লবন আমদানী নয়। বিসিককে মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোন শক্তিকে লবন আমদানীর সুযোগ দেয়া হবেনা। প্রান্তিক লবনচাষাদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হবে।
এ সময় তিনি শীঘ্রই বর্তমান ‘লবননীতিমালা’কে সংশোধন করে নতুন নতীমালা ঘোষণার কথাও জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প (বিসিক) চেয়ারম্যান আহমেদ হোসেন খান, কক্সবাজার লবন মিল মালিক সমিতির সভাপতি ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ লবনমিল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি নুরুল আবছার, মিল মালিক ফরিদুল ইসলামসহ লবন ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে মন্ত্রী জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।