বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পর এবার লন্ডন যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। আগামীকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।
উল্লেখ্য, সৈয়দ আশরাফের স্ত্রী ও একমাত্র মেয়ে লন্ডনে থাকেন।
বড় দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী
লীগ ও বিএনপির দুই হাই প্রোফাইল নেতা পৃথক দুই কারণে লন্ডন সফর করলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতোমধ্যে ছড়িয়েছে গুঞ্জন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক নেতা বলেন, এ সফরে বাংলাদেশের চলমান রাজনীতি ও সংকট নিয়ে দুই দলের নেতাদের বৈঠক হতেও পারে।
অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের এক কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাও লন্ডন যাচ্ছেন এবং সেখানে একটি রাজনৈতিক বৈঠকও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা এ গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের মতে, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম লন্ডন যাবেন পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে দেশের চলমান রাজনীতি নিয়ে আশরাফের বৈঠক হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়, হতেও পারে। সূত্রগুলো মনে করে, আগে থেকেই দুই দলের শীর্ষ নেতাদের লন্ডন-বৈঠকের বিষয়টি ঠিক করা। তাই লন্ডন যাওয়ার জন্যে দুইজন দুই কারণ তুলে ধরে এ সময়টাকেই বেছে নিয়েছেন।
সূত্র আরো জানায়, বৈঠক হলেও ফলপ্রসূ কিছু হবে না। তাছাড়া বিদেশি প্রেসক্রিপশনেও এ সফর হতে পারে। রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে বৈঠকে বিদেশি কোনো পক্ষও থাকতে পারে। অপর একটি মহল মনে করে, খালেদা জিয়া তথা বিএনপির কর্মকা- পর্যবেক্ষণ করতে লন্ডনে যাচ্ছেন আশরাফ। লন্ডনে কোনো ‘ষড়যন্ত্র’ হলে সেটা যেন তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবেলা করতে পারেন, সে উদ্দেশ্যও আছে তার।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, ‘আশরাফুল ইসলামের লন্ডন সফর সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই। লন্ডন যেতেই পারেন। সেখানে তার পরিবার থাকে। বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখার সুযোগ নেই।’
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, তার সফরকে কেন্দ্র করে সন্দেহ একেবারেই অমূলক। সৈয়দ আশরাফের অনেক আগেই লন্ডন যাওয়ার কথা ছিল। নানা কারণে যাওয়া হয়নি।
জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, ‘রাজনীতিতে গোপনে কিছু করার নেই। খালেদা জিয়া ও আশরাফের লন্ডন সফরে রাজনৈতিক কিছু ঘটতে পারে বলে মনে করি না।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, ‘লন্ডনে ম্যাডাম বা সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে বলে মনে করি না। রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্যে কোনো বৈঠক হতে হলে সেটা দেশেই হবে। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা এখনো যে স্ট্যান্ডে আছেন, তাতে বৈঠক হওয়ার কোনো পরিবেশ আছে বলে মনে করি না।’