এস এম আরোজ ফারুক :
বৈরি আবহাওয়ার কারনে প্রতি বছরের তুলনায় এবছর পার্শবর্তী দেশ মায়ানমার থেকে কুরবানীর গরু কম এসেছে। আর তাই এবার হাটগুলোতে চাহিদা বেড়েছে দেশি গরুর। তবে এবছর কুরবানী পশুর হাটে দেশি গরুর দাম অনেক বেশি। তাছাড়া জেলার অন্যান্য বাজার গুলোতেও গরুর দাম খুব বেশী বলে খবর পাওয়া গেছে। বাজারে ভারত ও মায়ানমারের গরু কম আসায় দাম বেশী বলে জানান বিক্রেতারা। তবে ক্রেতা ও গরু ব্যপারিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে আজ দাম আরো কমবে। তাই হাটের শেষ দিন অর্থাৎ আজকের জন্য অপেক্ষা করছেন অনেক ক্রেতা। আর এক দিন পরই ঈদ উল আযহা, তাই জেলার পশুর হাটগুলোতে ক্রেতাদের বিপুল সমাগম দেখে গেলেও অনেকে এখন পর্যন্ত দাম কসাকসিতেই ব্যস্ত আছেন। বাজারে দেশি গরু ভাল উঠলেও গরুর অস্বাভাবিক দামের কারনে বিক্রি তেমন ভাল হয় নি। গত বছরের তুলনায় এবছ গরুর দামের ব্যবধান ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। শহরের খুরুশকুল রাস্তায় পৌরসভার কুরবানীর হাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে দেশিয় ছোট গুরু গুলোর দাম কম পক্ষে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা হাকাচ্ছেন ব্যবসায়িরা।
শহরের পেশকার পাড়ার মোস্তফা জানান, কোরবানী হাটে গরুর দাম অনেক তাই আমি কিছু দিন আগে পশ্চিম বাহারছড়া এলাকা থেকে একটি পোশা গরু কিনেছি ৪০ হাজার টাকায়। একই সাইজের দেশি গরু হাটে বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ হাজার টাকায়।
পৌরসভার এক মাত্র গরু বাজার শহরের খুরুশকুল রাস্তার হাটে কয়েকজন গরু ব্যপারির সাথে কথা বললে তারা জানান, এবারের বন্যায় জেলায় বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের অকেন গরু মারা গেছে তাছাড়াও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ায় আগেভাগে বিক্রি করা হয়েছে। তাই এমনিতে দেশি গরুর স্বল্পতা আছে তাই এবছর দেশি গরুর দামটা অনেক বেশি। অন্যদিকে মায়ানমার থেকেও এবার গরু কম এসেছে যাও বা এসেছে বেশিরভাগ গরু ঢাকার ব্যপারিরা নিয়ে গেছেন।
শহরের বইল্যাপাড়ার গরু ব্যবসাসী রফিক বলেন, এবার মায়ানমার থেকে আমরা বেশি গরু আনতে পারিনি। আমি গত দুই সপ্তাহ আগে ২৩টি গরু এনেছিলাম। আবহাওয়া ভাল না তাই গরু নিয়ে ট্রলার আসতে পারছে না। তবে বাজারে যা দেশি গরু আছে তার দাম অনেক বেশি হলেও ঈদের আগের দিন গরুর দাম একদম কমে যাবে। কারন শেষ দিনে বিক্রি করতে না পারলে আবার আগামী বছরের জন্য অপেক্ষো করতে হবে এতে খরচও বাড়বে। তাই লস হলেও বেশিরভাগ ব্যপারিরাই শেষের দিন খুব কম মূল্যেই গরু বিক্রি করে দিবেন।
খুরুশকুল গরু বাজার কমিটির সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাতের মধ্যে আরো গরু আসার সম্ভবনা আছে এতে মায়ানমারের গরুও থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে। যদি যথেষ্ট পরিমান গরুর সরবারহ থাকে তাহলে ঈদের আগের দিন অর্থাৎ হাটের শেষ দিনে ক্রেতাদের বাজেটের মধ্যে গরু কিনতে পারবে।