ঢাকামঙ্গলবার , ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. সর্বশেষ
  2. উপজেলা

ঢেউয়ের আগ্রাসী থাবায় ধ্বংসলীলায় পরিনত টেকনাফের সমুদ্র সৈকত

প্রতিবেদক
কক্সবাজার আলো
৭ অক্টোবর ২০১৫, ৭:৩৬ অপরাহ্ণ

Link Copied!

সাইফুল ইসলাম,টেকনাফ :
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ সৃষ্টি বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের ছোট্ট উপ-শহর সৈকত নগরী টেকনাফ। যার পশ্চিমে বিশাল বগ্ঙোপসাগর,পূর্বে নদী নাফ ও মিয়ানমার,দক্ষিণে প্রবাল দ্বীপ সেন্ট-মার্টিন,উত্তরে নেটং পাহাড়। এতকিছুর সম্মিলন হয়তো পৃথিবীর কোথাও দেখতে পাওয়া দরুহ ব্যাপার। এমন রুপ বৈচিত্র্য পরিদর্শনে প্রতিবছর হাজারো পর্যটক ছুটে আসে পর্যটনের অন্যতম স্হান টেকনাফে।আর টেকনাফের পর্যটন স্পটের অন্যতম স্হান হচ্ছে সমুদ্র সৈকত। এই সৈকতের অপরুপ সৌন্দর্য একসময় বিমোহিত করত সমুদ্রের নুনা জলে ঢেউয়ের মিথালী অবলোকন করতে আসা অগনিত ভ্রমণপিপাসুদের মনকে। সাগরের আগ্রাসী ঢেউয়ের থাবায় আজ দিন দিন ধ্বংসলীলায় পরিনত হচ্ছে কক্সবাজার জেলার সর্ব দক্ষিণের অন্যতম পর্যটন স্পট টেকনাফের সমুদ্র সৈকত। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় কোমনের আঘাটে কক্স্রবাজার জেলার অন্তর্গত সমুদ্র সৈকতটির ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে। যেখানে চোখ যায় সেখানে দেখা মেলে পড়ে থাকা ধ্বংস¯ু‘পের নিদর্শন। সৈকত হারিয়েছে তার অপরুপ সৌন্দর্য্য,হারিয়েছে জৌলস। ভ্রমণে আসা পর্যটকরা হয়েছে বিমূখ। সৈকতের কিনারায় গড়ে উঠা হ্যাচারী শিল্পের হয়েছে প্রচুর পরিমান ক্ষয়-ক্ষতি। ভেঙ্গেছে হ্যাচারী শিল্পের অনেক স্হাপনা।ক্রমাগত ভাঙ্গনে মালিকপক্ষ  গুটিয়ে নিচ্ছে তাদের প্রতিষ্ঠান। ঢেউয়ের থাবায় ভেসে গেছে ঝাউ বাগানের ব্যাপক অংশ। বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ধ্বংসলীলার চিহ্ন। অথচ কোমনের আঘাতের আগে নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যরে বেলাভ’মিটির এই অবস্হা কখনও এমন হয়নি। সৈকতে আসা অনেকের মতে,আমাদের সৈকতটি কক্সবাজার ও ইনানী সৈকতের চেয়ে কোন অংশে কমনা। তবে এখনো পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ না থাকায় সমুদ্র সৈকতটি তার অবস্হান জানান দিতে পারছে না  আজ। আর এরই মাঝে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও কোমেনের আঘাতে সৈকত নগরী হারিয়েছে তার চিরচেনা রুপ-প্রকৃতি। তাদের মতে, আজ দেশের অন্যতম পর্যটন স্পটটি বারবার ঢেউয়ের আঘাতে ও প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্হ হয়ে এইভাবে পড়ে থাকবে কোনদিন ভাবিনি।যেখানে তাকায় সেখানেই দেখা মিলে ক্ষয়-ক্ষতির চিহ্ন। তাই আমাদের পর্যটন শিল্পের প্রধান আকর্ষন সমুদ্র সৈকত ও তার কিনারায় গড়ে উঠা হ্যাচারী শিল্পকে বাঁচাতে ‘ জি-ব্যাগ’ দিয়ে ইনানী ও হিমছড়ির ন্যায় বাঁধ দিয়ে ভাঙ্গন রোধ করতে হবে। যা সরকারি পর্যায়ে হউক অথবা  বা বেসরকারি পর্যায়ে হউক। যত দ্রুত সম্ভব ততই ভালো হয় অন্যথায় কক্সবাজার জেলার মানচিত্র থেকে  ধাপে ধাপে বিলীন হয়ে যাবে অন্যতম দর্শনীয় বেলাভ’মি রুপের নন্দীনি   টেকনাফের সমুদ্র সৈকত।

আরও পড়ুন

সালাহউদ্দিন আহমদের ‘নাম ভাঙ্গিয়ে’ প্রতারণা, গুলশান থানায় জিডি

কক্সবাজারের ৪ থানার ওসি প্রত্যাহার

জাতীয় নাগরিক কমিটিতে কক্সবাজারের সুজা

কক্সবাজারে নতুন পুলিশ সুপারের যোগদান

‘জুলাই বিপ্লবে’ শহিদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগ চুপচাপ বসে থাকবে না, সতর্ক করলেন প্রধান উপদেষ্টা

মা হলেন দীপিকা পাড়ুকোন

শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে

রামুতে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে মসজিদ ও মন্দিরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সংযোগ চালু

বাংলাদেশে ওয়ানপ্লাস-এর প্রথম ফ্ল্যাগশিপ স্টোর উদ্বোধন

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা প্রত্যাহার

গণঅভ্যুত্থান জাদুঘরে তুলে ধরা হবে ১৬ বছরের নির্যাতনের চিত্র: তথ্য উপদেষ্টা

গণঅভ্যুত্থান জাদুঘরে তুলে ধরা হবে ১৬ বছরের নির্যাতনের চিত্র: তথ্য উপদেষ্টা