পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারাভিযানের সময় গতকালও দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক বিএনপি নেতা নিহত, বিএনপি সমর্থিত এক মেয়র প্রার্থী ছুরিকাহত এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রীসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। উল্লেখ্য, আগের দিন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন শতাধিক।
খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা জানান, খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা পৌরসভায় বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো: বাদশাহ মিয়ার নির্বাচনী প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিএনপি নেতা মো: নজরুল ইসলাম (৪০) নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলা কৃষক দলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি।
গত রাত সাড়ে ৮টায় মাটিরাঙ্গা উপজেলার ৪ নম্বর পৌর ওয়ার্ডের আর্দশগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার সময় আর্দশগ্রাম এলাকায় সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মো: নজরুল ইসলামের মৃত্যু হয়।
মাটিরাঙ্গা থানার ওসি শাহাদাত হোসেন টিটু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ঘটনাস্থলসহ পৌর এলাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে যৌথ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার সময় সমর্থকদের ওপর আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও সাংবাদিকদের লিখিতভাবে জানানো হয়।
বিরামপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা জানান, দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আজাদুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা। গত রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আজাদুল ইসলামকে বর্তমানে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিরামপুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
পটুয়াখালী সংবাদদাতা জানান, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি এয়ার ভাইস মার্শাল (অব:) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা। এ সময় ৬টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় চার সাংবাদিক ও আলতাফ হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী সুরাইয়া বেগম, বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীসহ দুই সাংবদিক আহত হয়েছেন। এ সময় সাংবাদিকদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। হামলায় বৈশাখী টিভির আবদুস সালাম আরিফ, ইন্ডিপেন্ডেন্টের মোখলেছুর রহমান, সময় টিভির ক্যামেরা পারসন সুজন দাস, ভোরের আলোর সরোজ আহত হন। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কলাপাড়া পৌরশহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সাংবাদিকেরা হামলাকারীদের হাত থেকে মুক্তি পান। এর আগে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এরপর কলাপাড়া থানার ওসি আজিজুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী জানান, পটুয়াখালী জেলার ৪০Ñ৫০ জনের প্রতিনিধিদল কলাপাড়া কুয়াকাটা পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারাভিযানে আসি। আমরা কলাপাড়া পৌরশহরে প্রবেশ করতেই আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমাদের গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের আহত করে। এবং বহরে থাকা সাংবাদিকের গাড়িসহ ৬টি গাড়ি ভাঙচুর করে। সন্ত্রাসী হামলায় আমার স্ত্রীসহ ১৫ জন নেতা আহত হন। তিনি আরো বলেন, সরকারের নির্বাচন নিয়ে যে দুরভিসন্ধি রয়েছে তা এই হামলাই প্রমাণ করে। তিনি এ হামলার নিন্দা জানান এবং হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান। হামলায় আহত বিএনপির নেতারা হলেনÑ পটুয়াখালী সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সিকদার, শ্রমিকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আউয়াল আকন, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খান, সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, ছাত্রদল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন।
কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ বি এম মোশারফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৫০Ñ৬০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী এ হামলা চালিয়েছে। নির্বাচনে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতেই এ হামলা চালানো হয়েছে।
কলাপাড়া পৌরসভা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এটা একটা অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। ঘটনা শোনার পর আমি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ দিকে ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির পটুয়াখালী প্রতিনিধি মোখলেছুর রহমান বলেন, হামলাকারীরা তাদের গাড়ি ভাঙচুর করে তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। তিনিসহ হামলায় বৈশাখী টিভির আবদুস সালাম আরিফ, সময় টিভির ক্যামেরা পারসন সুজন দাস, ভোরের আলোর সাংবাদিক সরোজ কুমার আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো: মনিরুজ্জামান জানান, তারা ঘটনা শোনার পরই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তার গাড়িবহরে থাকা নেতাকর্মীদের উদ্ধার করে বিএনপি কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে।
অপর দিকে কলাপাড়া আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী বিপুল চন্দ্র হাওলাদার দুপুর ১২টায় কলাপাড়া প্রেস কাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি বা তার দলের কেউ এ হামলার সাথে জড়িত নয়। বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। সাংবাদিকদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
পাবনা সংবাদদাতা জানান, পাবনার সুজানগরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর প্রচারণায় হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলার সাথে জড়িত। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের একজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকিল উদ্দিন আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে কাউকে আটক করা যায়নি। কথাকাটাকাটি থেকে ধাওয়াÑ পাল্টাধাওয়া হয়েছে। কেউ আহত হয়েছে বলে জানা নেই। এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগও দেয়নি।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজম আলী বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, এ হামলার সাথে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জড়িত। তারা ধানের শীষের জোয়ারে ভীত হয়ে পরাজয় নিশ্চিত জেনে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এ অভিযোগের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব বলেন, হামলার সাথে আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত নয়। ঘটনাস্থলে হামলার সময় আমার লোকজন উপস্থিত ছিল না। আমার ওপর অন্যায়ভাবে দোষ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।
বগুড়া অফিস জানায়, বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর পোস্টার লাগানোর সময় তিন কর্মীকে আটকে রেখে নির্যাতন করেছে সরকারি দলের লোকজন। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
জানা গেছে, গতকাল পুরান বগুড়া বটতলা এলাকায় ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী মাসদু রানা মাসুদের পাঞ্জাবি মার্কার পোস্টার লাগানোর সময় সরকারি দলের প্রার্থী আমিনুল ইসলামের লোকজন তাদের কাছ থেকে পোস্টার কেড়ে নিয়ে তাদের আটকে রাখে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ সুপারকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানালে দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম ফাঁড়ির ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জানান, পোস্টার লাগাতে বাধা দিলেও কাউকে আটকে রাখা হয়নি। তবে কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের তিন কর্মী আব্দুর রহমান (২০), হৃদয় (১৯) এবং জুয়েলকে (১৮) আটকে রেখে মারধর করেছে। তাদের কাছ থেকে পোস্টার কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছে।
এ দিকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকেই এই ওয়ার্ডে সরকারদলীয় প্রার্থীর লোকজন বিএনপি প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে বলে একাধিকবার রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন করেও অভিযোগ করেছেন মাসুদ রানার স্ত্রী।
চান্দিনা (কুমিল্লা) সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লার চান্দিনা পৌর নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী শাহ মো: আলমগীর খানের পে সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুকের গণসংযোগে হামলা করেছে আওয়ামী লীগ।
গতকাল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তুলাতলী এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় এক সাংবাদিকসহ কয়েকজন আহত হন। আহত জাকির চান্দিনার সাপ্তাহিক মুক্তির লড়াই প্রতিনিধি।
প্রত্যদর্শীরা জানান, তুলাতলী কমিশনার মার্কেটের সামনে বিএনপি জাতীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবেদীন ফারুক চান্দিনা উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলামসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করার সময় ৫Ñ৬টি মোটরসাইকেলে কয়েকজন যুবক এসে হামলার চেষ্টা করে। এ সময় সাংবাদিক জাকির ছবি তুলতে গেলে তার ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে মারধর করে। এ ঘটনায় জয়নুল আবেদীন ফারুক তীব্র ােভ প্রকাশ করেন।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিয়া মোহাম্মাদ কেয়াম উদ্দিনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও চান্দিনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। ততণে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ দিকে কুমিল্লার বিভিন্ন পৌরসভায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক জয়নাল আবেদিন ফারুক।
তিনি বলেন, কুমিল্লার চান্দিনায় তার প্রচারণায় বাধা দেয়া হয়েছে। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। সোমবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিএনপির মেয়র প্রার্থী গোলাম রাব্বানীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের হস্তপে কামনা করেন।
তিনি আরো বলেন, যত অন্যায়Ñঅত্যাচার করা হোক না কেন বিএনপি শেষ দিন পর্যন্ত মাঠে থাকবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এ সময় কুমিল্লা দণি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া ও চৌদ্দগ্রাম বিএনপির মেয়র প্রার্থী গোলাম রাব্বানীর মা মেহেরুন্নেছা হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সদর দক্ষিণ (কুমিল্লা) ও চৌদ্দগ্রাম সংবাদদাতা জানান, বিস্ফোরক ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়া এবং হামলার অভিযোগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী ইমাম হোসেন পাটোয়ারী (এনাম)সহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০৪ জনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শঙ্কর তালুকদার, আলকরা ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চু ও কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল হালিম বাদি হয়ে মামলা তিনটি দায়ের করেন। পুলিশ সোমবার রাতে পৌরসভাধীন চাঁন্দিশকরা গ্রামের কামাল পাটোয়ারী, তুষার পাটোয়ারী, সাহাব উদ্দিন, শাখাওয়াত ও খোরশেদকে আটক করে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম ফরহাদ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে চৌদ্দগ্রাম বাজারে আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী মিজানুর রহমান ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ইমাম হোসেন পাটোয়ারীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।