ঢাকামঙ্গলবার , ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. সর্বশেষ

মৃত্যু ১৫ হাজার ছাড়াল, একদিনে রেকর্ড ১৫৩

প্রতিবেদক
কক্সবাজার আলো
৪ জুলাই ২০২১, ৭:১৪ অপরাহ্ণ

Link Copied!

করোনায় মৃতের দাফনের পর স্বজনরা। ফাইল ছবি।

কক্সবাজার আলো ডেস্ক :
দেশে গত এক দিনে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে। উল্লেখিত সময়ে মারা গেছেন আরও ১৫৩ জন। এ নিয়ে টানা আট দিন দেশে শতাধিক মৃত্যু হলো করোনায়। এক দিনে দেড় শতাধিক মৃত্যুতে করোনায় প্রাণহানি ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে।

এদিকে মৃত্যু বাড়ার পাশাপাশি আজ শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে। গত একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৬৬১ জন। শনাক্তের হার ২৮.৯৯ শতাংশ।

রবিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯হাজার ৮৭৯টি নমুনা পরীক্ষায় ৮ হাজার ৬৬১ জন শনাক্ত হন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৯১৭ জন। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ০৫ শতাংশ।

নতুন মারা যাওয়াদের মধ্যে ৯৬ জন পুরুষ এবং ৫৭ জন নারী। এদের মধ্যে ৫১ জনই খুলনার। এছাড়া ঢাকায় ৪৬, চট্টগ্রামে ১৫, রাজশাহীতে ১২, বরিশালে ৩, সিলেটে ২, রংপুরে ১৫ এবং ময়মনসিংহে ৯ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৫ হাজার ৬৫ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নতুন মৃতদের ৭০ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪৫, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২৪, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১১ এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের ৩ জন রয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত এক দিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে ৪ হাজার ৬৯৮ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৮৯৭ জন।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। এর মধ্যে গত ৩০ জুন এক দিনে রেকর্ড ৮ হাজার ৮২২ জন শনাক্ত হন। আর ১ জুলাই এক দিনে রেকর্ড ১৪৩ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২ জুলাই শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪৮৩ জন ও শনাক্তের হার ছিল ২৮.২৭ শতাংশ। ১ জুলাই শনাক্তের হার ছিল ২৫.৯০ শতাংশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা যায়।

বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্রথমে ২১ এপ্রিল ও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি করেছিল সরকার। এরপর সেটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৬ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। এর মধ্যেই আবার ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের জারি করেছে সরকার।

আরও পড়ুন

সালাহউদ্দিন আহমদের ‘নাম ভাঙ্গিয়ে’ প্রতারণা, গুলশান থানায় জিডি

কক্সবাজারের ৪ থানার ওসি প্রত্যাহার

জাতীয় নাগরিক কমিটিতে কক্সবাজারের সুজা

কক্সবাজারে নতুন পুলিশ সুপারের যোগদান

‘জুলাই বিপ্লবে’ শহিদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগ চুপচাপ বসে থাকবে না, সতর্ক করলেন প্রধান উপদেষ্টা

মা হলেন দীপিকা পাড়ুকোন

শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে

রামুতে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে মসজিদ ও মন্দিরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সংযোগ চালু

বাংলাদেশে ওয়ানপ্লাস-এর প্রথম ফ্ল্যাগশিপ স্টোর উদ্বোধন

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা প্রত্যাহার

গণঅভ্যুত্থান জাদুঘরে তুলে ধরা হবে ১৬ বছরের নির্যাতনের চিত্র: তথ্য উপদেষ্টা

গণঅভ্যুত্থান জাদুঘরে তুলে ধরা হবে ১৬ বছরের নির্যাতনের চিত্র: তথ্য উপদেষ্টা