কক্সবাজার আলো ডেস্ক :
দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের সুপার টুয়েলভের খেলা। আর আজ থেকেই শুরু হচ্ছে সেমিফাইনালপর্ব। ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড। আবুধাবিতে অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় মাঠে নামবে এই দুদল।
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বের খেলায় গ্রুপ-১ এ ছিল ইংল্যান্ড। এই গ্রুপে নিজেদের পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটি জয় পেয়েছে ইংলিশরা। আর তাতেই ৮ পয়েন্ট নিয়ে হয়েছে গ্রুপসেরা। অন্যদিকে গ্রুপ-২ এ রানারআপ হয়েছে নিউজ্যিলান্ড। অবশ্য তাদের পয়েন্ট সংখ্যাও ৮। তবে তাদের গ্রুপে কোনো ম্যাচ না হারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান।
সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। এরপর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয় পায় ইয়ন মরগান বাহিনী। আর চতুর্থ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ২৬ রানে। আর তাতেই নিশ্চিত হয়ে যায় সেমিফাইনাল। শেষ ম্যাচে অবশ্যই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরেছে ১০ রানে।
এদিকে হারের মাধ্যমেই এবারের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের কাছে হেরেছে ৫ উইকেটে। পরের ম্যাচেই অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় কিউইরা। জিতেছে টানা চার ম্যাচে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এগিয়ে ইংল্যান্ড। ২১ লড়াইয়ে ১২ জয় ইংল্যান্ডের। ৭ জয় নিউজিল্যান্ডের। ১টি করে ম্যাচ টাই ও পরিত্যক্ত হয়। এদিকে বিশ্বকাপের মঞ্চে পাঁচবার দেখা হয় ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের। এতে তিনবার জিতে ইংলিশরা। আর দু’বার জিতে কিউইরা।
২০০৭ সালে প্রথম বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছিলো ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটি ৫ রানে জিতেছিলো নিউজিল্যান্ড। এরপর ২০১০ সালে তৃতীয় বিশ্বকাপে আবারও গ্রুপ পর্বে লড়াই করে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচটি উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শেষ ওভারে ৩ উইকেটের জয় তুলে নেয় ইংলিশরা।
বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম দুই লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হলেও, ২০১২ সালে গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সহজেই জিতে যায় ইংল্যান্ড। ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল ইংলিশরা। আর ২০১৪ সালে বাংলাদেশের হওয়া বিশ্বকাপে আবারও গ্রুপ পর্বে দেখা হয় ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের। বৃষ্টি আইনে সেই লড়াই ৯ রানে জিতেছিল কিউইরা।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের সেমিফাইনালে দেখা হয়েছিল ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। এ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে দাঁড়াতেই দেয়নি ইংল্যান্ড। ৭ উইকেটের সহজ জয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনাল খেলে ইংলিশরা।