ওমিক্রন আর করোনা আতঙ্কে মানুষ ভ্রমণে বের হচ্ছেনা। হঠাৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ায় বার্ষিক শিক্ষা সফরে যেতে পারছেনা দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিসহ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা।
প্রভাব পড়েছে পর্যটনশিল্পে। কমে গেছে পর্যটক। ডিসেম্বরের তুলনায় ফিফটি পর্সেন্টে নেমে গেছে এমনটাই মনে করছেন পর্যটক ব্যবসায়ীরা।
দারুচিনি দ্বীপ ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপক হেলাল উদ্দিন সাগর বলেন, দ্বীপের স্থানীয় মানুষগুলো জীবন জীবিকা নির্বাহ করে ৪ মাস ডাব বিক্রি করে, অটো/ভ্যান/স্প্রীড বোট/ফ্লাইবোট/ বীচ চেয়ার ভাড়া দিয়ে আর দোকানপাট ও ট্যুরিজম ব্যবসার আয়ের টাকা দিয়ে বাকি ৮ মাস চলে। করোনার দোহাই দিয়ে যেভাবে পর্যটক কমে যাচ্ছে খুব টেনশনে পড়ে গেলাম।
সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে প্রতিদিন ৯ টি জাহাজ চললেও এখন মাত্র চলছে ৬ টি। হোটেল রিসোর্টে শুক্র শনিবারে বুকিং থাকলেও বাকি দিনগুলোতে প্রায় রুম খালি।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সৈয়দ আলম বলেন, প্রতিবছর জাহাজ চালু হয় সেপ্টেম্বরের শুরুতে। এ বছর জেটি মেরামতের জন্য প্রায় আড়াই মাস দেরিতে নভেম্বরের ১৬ তারিখ জাহাজ চালু হয়েছে। এখন করোনা আতঙ্কে পর্যটকও কমে যাচ্ছে।
সবমিলিয়ে আমরা দ্বীপের স্থানীয়দের বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তাছাড়া বর্ষাকালে দ্বীপের মানুষগুলো আয় রোজগার করতে পারেনা। সিজনের ৪ মাসের ইনকাম দিয়ে বাকি ৮ মাস চলতে হয় আমাদের।
কেয়ারী ট্যুরস এন্ড লিমিটেড এর টেকনাফের ইনচার্জ শাহ আলম বলেন, শুক্র শনিবারে পর্যটক বাড়লেও সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে অনেক কমে গেছে।
বে অব বেঙ্গল ট্যুরিজম ও ফারহান-পারিজাত জাহাজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোফায়েল আহমেদ বলেন, ডিসেম্বরের চাইতে জানুয়ারীতে পর্যটক অর্ধেকে নেমে গেছে। মাঝেমধ্যে দুই জাহাজের যাত্রী এক জাহাজে করে নিয়ে যেতে হয়। এসবের কারণে আজ দেশে পর্যটন ব্যবসায় ধস নামছে। সংশ্লিষ্টদের উচিৎ কোনো প্রকার বাধা নিষেধ না রেখে সেন্টমার্টিনসহ তথা দেশের সব পর্যটন স্পটগুলো ঢেলে সাজানো। এতে সরকারের রাজস্ব রাড়বে কয়েকগুণ।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মুজিব বলেন, আল্লাহর রহমতে সেন্টমার্টিন সম্পূর্ণ করোনা মুক্ত বলতে পারি। পৃথিবীতে করোনা মহামারী পরিস্থিতি যখন চলছে তখনও আমাদের দ্বীপের মানুষ করোনা মুক্ত ছিলো। দ্বীপে আমরা স্থানীয় প্রশাসন, কোষ্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশসহ সকলেই জনসচেতনতার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।