কক্সবাজারের টেকনাফ শাপলাপুরের মেরিন ড্রাইভ এলাকায় অভিযান চালিয়ে হুরাইরা ডাকাত গ্রুপের প্রধান আবু হুরাইরাসহ তিন শীর্ষ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫। এসময় তাদের কাছ থেকে ৬ টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দিবাগত রাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন, টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালী এলাকার মৌলভী মকসুদুর রহমানের ছেলে আবু হুরাইরা মোহাম্মদ (২৬), একই এলাকার মৃত নুরুল কবিরের ছেলে মোরশেদ আলম (২১) ও ঝুমপাড়ার হায়দার আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৩৮)।
র্যাব জানা যায়, ডাকাত আবু হুরায়রা এবং তার সহযোগীকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ায়। বিশেষ নজরদারির একপর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের আভিযানিক দল টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত আড়াইটার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের হাজমপাড়া এলাকার ঝাউবাগানের ভিতরে মাটির নিচে পুতে রাখা অবস্থা থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ৬ টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত : গত ৭ জুন টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালী এলাকার একটি বিয়ে বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঐসময় ডাকাত সদস্যরা কয়েক ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও কয়েকটি স্মার্টফোনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এছাড়াও গত ১৮ জুন টেকনাফের হোয়াইক্যং-শাপলাপুর সড়কের শাপলাপুর ঢালার মুখে একদল সংঘবন্ধ ডাকাত রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইলসহ বিভিন্ন মালামাল ডাকাতি করে। এই দুই দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনা টেকনাফে ভীতির সৃষ্টি করে। উক্ত ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামী করে টেকনাফ থানায় মামলা হয়।
এছাড়াও গত ২০-২১ জুন র্যাব-১৫ এর সদস্যরা ১৫ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালিয়ে মোঃ সাকিল (২০), মোঃ আমান উল্লাহ (২৪), মোঃ আরাফাত (২৭), মোঃ সাকিব হাসান (২৪), মোঃ নুরুল আমীন (২৫) ও মোঃ আইয়েছ প্রকাশ আজিজ (২২)কে গ্রেফতার করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রত্যেকেই দুই ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং ডাকাত চক্রের মূলহোতা আবু হুরাইরাসহ তার ডানহাত হিসাবে মোরশেদ ও নুরুল ইসলামের কথা স্বীকার করে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।