অর্থবছর ২০২২-২৩ শুরু হওয়ার প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৯ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার। যা গত ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থা। এর আগে, দেশে ২০২১ সালের মে মাসে ২১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
সোমবার (১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালের জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ মার্কিন ডলার। আর ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষ মাস গত জুনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮৪ কোটি মার্কিন ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ কোটি ডলার কম। ২০২০-২১ অর্থবছরের জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৪ কোটি ডলার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সারা বছরের মধ্যে দুই ঈদের আগে রেমিট্যান্স প্রবাহ অন্যান্য সময়ের চেয়ে বাড়ে। ঈদে দেশে নগদ টাকার চাহিদা থাকায় সেটার যোগান দিতেই প্রবাসীরা আত্মীয়-স্বজনের নিকট রেমিট্যান্স পাঠায়। প্রবাসীদের এই অর্থে দেশে থাকা স্বজনরা ঈদে কোরবানি ও প্রয়োজনীয় কেনাকাটার চাহিদা পূরণ করেন। আর তাই এবার ঈদ উল আজহা কেন্দ্র করে রেমিট্যান্স প্রবাহে কিছুটা গতি ফিরেছে।
তারা আরও বলছেন, রেমিট্যান্সের এই প্রবাহ অব্যাহত থাকলে ডলারের সংকট অনেকটা কেটে যাবে। তাতে ডলারের বাজারেও অস্থিরতা অনেকটা কমবে। আর এই রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি অব্যাহত রাখতে বিদেশে দক্ষ লোকবল পাঠানোর উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।
এদিকে, সংকটের কারণে দিন দিন ডলারের দাম বাড়ছে। আন্তঃব্যাংক ডলার বিনিময় হয়েছে ৯৪.৭০ টাকা। আর খোলা বাজারে প্রতি ডলার ১০৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। এরমধ্যে আলোচ্য অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এসেছে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার, আগস্টে ১৮১ কোটি ১ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৭২ কোটি ৬৭ লাখ, অক্টোবরে ১৬৪ কোটি ৬৮ লাখ, নভেম্বর ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ এবং ডিসেম্বরে ১৬৩ কোটি ৬ লাখ, জানুয়ারিতে ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৪৪ লাখ, মার্চে ১৮৫ কোটি ৯৭ লাখ, এপ্রিলে ২০১ কোটি ৮ লাখ, মে মাসে ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ এবং গত জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮৪ কোটি মার্কিন ডলার। এর আগে, ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।