জানা গেছে, সোমবার দুপুর গড়িয়ে গেলে বৈরী আবহাওয়া আরও ঘনীভূত হয়। এতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠে কক্সবাজারের গোটা উপকূলবাসী। দমকা বাতাসের সঙ্গে চলতে থাকে মুষলধারে বৃষ্টিপাত। টানা এ বৃষ্টিপাতে জেলা শহর ছাড়াও বেশ কয়েকটি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। পানিতে তলিয়ে যায় নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি। উপকূলের লোকজন দল বেঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করে স্থানীয় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে। বিশেষ করে টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও কক্সবাজার সদরের বিভিন্ন এলাকা। তবে এখন বিপদমুক্ত কক্সবাজার। এখন জেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষকে খাদ্য পরিবেশন করছেন।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আবদুল হামিদ জানান, রাত ৮টার পর থেকে সিত্রাং কক্সবাজার উপকুল সংলগ্ন এলাকা এড়িয়ে বরিশাল-চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে বয়ে গেছে। সে ক্ষেত্রে কক্সবাজার শতভাগ বিপদমুক্ত। অতিভারি বর্ষণের কারণে সিত্রাং দুর্বল হয়ে গেছে।
কক্সকাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: আমিন আল পারভেজ বলেন, সিত্রাং মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। সোমবার বিকালে বৈরী আবহাওয়া দেখা দিলে জেলার সব উপজেলায় প্রস্তুত রাখা প্রায় ৫৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্র এবং ২৬টি মুজিব কেল্লায় অন্তত লাখ মানুষ আশ্রয় নেয়। মজুত রাখা হয় ১০ লক্ষ টাকা, ৩০০ মে.টন চাল, ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন ও পর্যাপ্ত শুকনো খাবার। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কাজ করছে ১০ হাজার সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক ও ১০৮টি মেডিকেল টিম। এসকল আশ্রিতার জন্য স্বাস্থ্যসেবা, শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রস্তুত করেছেন জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ বলেন, আপাতত ঝড় ও বৃষ্টিপাত থেমে গেছে। মনে হচ্ছে আবহাওয়া অনুকূলে এসেছে। সাগর সংলগ্ন উপজেলা পেকুয়া, সদর, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, ঈদগাহ ও টেকনাফের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেওয়া নারী-শিশু, বৃদ্ধাসহ অন্তত লাখো মানুষ রাতে অবস্থান নেয়। অবস্থা বুঝে মানুষ নিজ বাড়ি ফিরবে। সবসময় মানুষের পাশে থাকবে প্রশাসন।