শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে পর্যটন মেলার প্যানেল ডিসকাশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আলোচনায় বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে যে হারে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে তা পর্যটনের সাথে যায় না। এ স্থাপনা গুলোর চাপ সেন্টমার্টিন সহ্য করতে পারছে না। এগুলো বন্ধ করার জন্য কাজ চলছে। সবকিছু বিবেচনায় রেখে আপাতত টেকনাফ ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া জাহাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। কখন নাগাদ টেকনাফ ঘাট থেকে জাহাজ ছাড়বে তা জানানো হবে।’
তিনি আরও বলন, ‘পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে নান্দনিকভাবে সাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা রয়েছে। আবার কারো ক্ষতি করে তিনি উন্নয়ন করবেন না। তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। নিশ্চিত থাকতে পারেন তিনি কারো ক্ষতি করে উন্নয়ন করবেন না। সবকিছু ইতিবাচক হলে তিনি উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিবেন।’
সচিব বলেন, ‘পর্যটন খাতকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে এই রকম পর্যটন মেলা প্রতিবছর করার জন্য চিন্তা ভাবনা আছে। এমনকি সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ ধরণের মেলা বছরে দুইবারও করতে পারবো আমরা। পর্যটনের জন্য কক্সবাজার অন্যতম একটি স্থান এটিকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
ছোট খাটো ঘটে যাওয়া ঘটনাকে তিলকে তাল না করে পর্যটন এলাকাকে প্রমোট করলে দেশিবিদেশী পর্যটকে ভরপুর হবে কক্সবাজার এমনটিও জানান বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন।
জেলা প্রশসাক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত সচিব সুকেশ কুমার সরকার, আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নইমুল হক চৌধুরী টুটুল, কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ।
মেলায় প্রচুর পর্যটক ও স্থানীয়রা অংশ নেন।