মেঘলা আকাশ ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। তবুও গ্যালারীজুড়ে প্রাণের উচ্ছ্বাস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তঃ কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় এমন দৃশ্যপট সবার নজর কাড়ে। বিকালে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে কাঙ্খিত ফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই পরাশক্তি কক্সবাজার সিটি কলেজ বনাম টেকনাফ সরকারি কলেজ। ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দর্শকদের মাঝে। প্রিয় কলেজকে অনুপ্রেরণা যোগাতে উদ্দীপনার যেন কমতি ছিল না। বল পায়ে গেলেই দর্শকদের মুহুমুহু করতালি ও স্লোগান খেলোয়াড়দের শক্তি যোগায়। ম্যাচের প্রথমার্ধে মাঠজুড়ে সিটি কলেজের দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁদের গোছালো কয়েকটি আক্রমণ নস্যাৎ হলে ফলাফল আসতো আগেই।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে টেকনাফ কলেজের খেলোয়াড়েরা। তাঁদের একাধিক পরিকল্পিত আক্রমণ রুখে দেয় সিটি কলেজের অভিজ্ঞ রক্ষণভাগের লড়াকু সৈনিকেরা। তাঁরমধ্যে সিটি কলেজের গোলরক্ষক রিসাত ছিল অপ্রতিরোধ্য। প্রতিপক্ষের সব আক্রমণ ভেস্তে যায় তাঁর একক নৈপুণ্যে।
নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফলাফল গোলশূন্য। টাইব্রেকারে হার্টবিট বেড়ে যায় উভয় দলের দর্শকদের। ৫টি করে পেনাল্টি শটে একটি সেভ করে জয়ের স্বপ্ন বুনেন সিটি কলেজের গোলরক্ষক রিসাত। তবে সিটি কলেজের চতুর্থ শটটি বারে লেগে চলে আসায় কপাল পুড়ে। ফলে আবারও সমতা ৪-৪। পরে ২টি করে শটে একটিও মিস হয়নি সিটি কলেজের। এতে ৫-৬ গোলে জয়োল্লাসে ফেটে পড়ে সিটি কলেজ শিবির। অপরদিকে ২টি শটের মধ্যে একটি প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক রিসাত রুখে দেয়ায় পরাজয়ের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে টেকনাফ কলেজ।
ম্যাচ শেষে সেরা গোলরক্ষকের মুকুট সিটি কলেজের গোলরক্ষক রিসাতের মাথায়। ম্যাচ সেরা হন তাঁর আরেক সতীর্থ রিয়াত। আর টুর্নামেন্টে ৪টি গোল করে সেরা গোলদাতার স্বীকৃতি পান টেকনাফ কলেজের নকীব।
পরে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ ট্রফি তুলে দেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক বিভীষণ কান্তি দাশ, পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট ফরিদুল আলম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন, সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্যাথিং অং, কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র হেলাল উদ্দিন কবির ও জেলা ক্রীড়া অফিসার মাঈন উদ্দিন মিলকী।