কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে এক বাড়ি থেকে প্রায় ১৭ কোটি টাকার স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, জলিল মাঝি সাগর থেকে একটি ভাসমান ড্রাম উদ্ধার করে। তাতেই ছিল এই স্বর্ণগুলো। সেগুলো তিনি টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ মাঝের পাড়া এলাকায় তার বোনের বাড়িতে নিয়ে রাখেন। গত মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হলে দালাল গফুরের লোকজন সেই বাড়িতে হানা দেয়। এরপর পুলিশের কথা বলে সেই ড্রাম নিয়ে যায়। পরে নৌকার ঘাট-সংলগ্ন বেড়িবাঁধ থেকে পুলিশ পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ড্রাম উদ্ধার করে। ড্রামে তারা পাউডার পেয়েছে বলে জানায়। এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করেনি।
শাহপরীর দ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই তারেক মাহমুদ বলেন, ‘আমি গত শুক্রবার পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ড্রাম উদ্ধার করি। ড্রাম খুললে পাউড়ার দেখতে পাই। আমি কোনো স্বর্ণ উদ্ধার করতে পারিনি। এ পাউডারগুলো ঢাকায় পরীক্ষা- নিরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে। তারপর বিস্তারিত জানতে পারব। এ ঘটনায় যারা জড়িত, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এদিকে চিহ্নিত অপরাধীরা স্বর্ণ লুট করলেও পুলিশের পাউডার পাওয়ার বক্তব্যে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তারা বলছেন, পুলিশের যোগসাজশেই এই লুটের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় জেলেরা বলেন, পুলিশের কথা বলে জলিলের বোনের বাড়ি থেকে স্বর্ণ নিয়ে এসে লুটপাট করে বসে আছে দালাল গফুর ও নজির আহমদের সিন্ডিকেট। আরও আছে করিম উল্লাহ (হরু), মেম্বারের ছেলে হেলাল উদ্দিন, মো. জলিল, এশাআদুল্লাহ, আবদুল্লাহ, আবুল কালাম, রহিম উল্লাহ প্রকাশ, বদি আলম ও ঘাট পাহারাদার মান্নান। অথচ তাদের পুলিশ আটক করছে না। এদের আটক করলেই সব স্বর্ণ পাওয়া যাবে।
শাহপরীর দ্বীপ আওয়ামী লীগের নেতা মো. একরাম বলেন, ‘১৭ কোটি টাকার স্বর্ণ কীভাবে পাউডার হয়ে গেল! এ ঘটনার রহস্য উন্মোচন করতে হবে। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, ‘আমি এক দিন আগে যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ সুত্র-দৈনিক বাংলা ।