কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষে রফিক (৫১) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরো ৬জন গুলিবিদ্ধ হয়। নিহত রফিক রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে।
বুধবার (২ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকায় এঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, স্থানীয় ফুটবলার তৌহিদুল ইসলাম রাজু, মো. ইসমাঈল, মো. উসমান, মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ মুজিবুর রহমান। আহত কয়েকজনের নাম পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হ্নীলার লেদার এক মাদক কারবারীকে আটক করা হয়। এসময় স্থানীয়রা জড়ো হয়ে বিজিবি সদস্যদের ইট-পাটকেল মারে। এতে বিজিবির এক সদস্য আহত হন।
এসময় স্থানীয়রা বিজিবি সদস্যদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা বিজিবি সদস্যদের ঘিরে ফেলে আতংকজনক পরিবেশ তৈরি করলে বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় এক রোহিঙ্গা মারা যায়।
তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিজিবির টহলদল বাজার থেকে যাওয়ার সময় নাফনদীতে মাছ ধরার কয়েকজন জেলের সাথে বাড়াবাড়ি হয়। তখন তাদের অবস্থা দেখে জাফর নামে ব্যক্তি এগিয়ে গেলে তাকে ধরে ফেলে। মুহুর্তে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্যরা আসলে দু:পক্ষের সংঘর্ষ আরো বড় হয়ে যায়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার সকালে লেদা বাজারে স্থানীয় জাফর আলম নামের এক ব্যক্তিকে বিজিবি সদস্যরা আটক করে গাড়িতে তুলে। এসময় জাফর আলমের সাথে থাকা স্থানীয়রা এগিয়ে এসে কেন তাকে আটক করা হয় তা জানতে চায়। একপর্যায়ে ঘটনাটি বাকবিতণ্ডায় রূপ নেয়। পরে স্থানীয় জনতা জড়ো হয়ে হৈচৈ সৃষ্টি হলে ঘটনাস্থলে গুলিতে একজন নিহত হন।
ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে জানা যায়। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।