মুহাম্মদ শাহ জাহান, ইউএই:
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল কতৃর্ক যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৫ মার্চ “গণহত্যা দিবস” পালিত হয়েছে। দুপুর ২:৩০ ঘটিকার সময় মান্যবর কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল—এর কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, জনতা ব্যাংক এর কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সকল বেসরকারী সংগঠনের সদস্যবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহনে গণহত্যা দিবস পালিত হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মত্যাগকারী শহিদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভার শুরুতে গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। অতঃপর গণহত্যা দিবস এর উপর দুবাই ও উত্তর আমিরাতে বসবাসরত সকল সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী, সাধারণ শ্রমিক ও বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ, জনতা ব্যাংক, বিমান বাংলাদেশ এবং কনস্যুলেটের কর্মকর্তাগণ আলোচনায় অংশ নেন। বক্তাগণ ২৫ শে মার্চ কে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহবান জানান।
সমাপনী বক্তব্যে মান্যবর কনসাল জেনারেল জনাব বি এম জামাল হোসেন গণহত্যার শিকার সকল শহিদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারবর্গসহ সকল শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি গণহ্যতার বর্বরতার শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করার মাধ্যমে জাতির পিতার “সোনার বাংলা” গঠনে এবং বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে সকলকে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান। তিনি ২৫ শে মার্চ এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের জন্য জোড় চেষ্টা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি প্রবাসী নতুন প্রজন্মের কাছে গণহত্যার প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার জন্য উপস্থিত সকলকে অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠান শেষে গণহত্যার শিকার সকল শহিদ, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী শহিদ ও বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর উন্নতি ও সাফল্য কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।