বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সেই হিসাবে আগামী ১৭ জুন (১০ জিলহজ সোমবার) দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হবে। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকের পর শুক্রবার রাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (৭ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় (মাগরিবের নামাজের পর) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এই বৈঠক শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠক শেষে রাতে দেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার কথা ও পবিত্র ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সৌদি আরবে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার কথা জানায় দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেই হিসেবে আগামী ১৫ মে (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ এবং পরের দিন ১৬ জুন রবিবার (১০ জিলহজ) সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের কথা জানায় দুই পবিত্র মসজিদ (মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী) হারামাইন শরিফাইন কর্তৃপক্ষ।
সাধারণত জিলহজ মাসের ৯ তারিখে আরাফার ময়দানে হাজিরা সমবেত হন। ওইদিন হজের আনুষ্ঠানিকতার মূল পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। দিনটিকে ‘ইওয়ামুল আরাফাহ’ তথা ‘আরাফাহ দিবস’ বা হজের দিন বলা হয়। এ দিন হজ শেষে পরের দিন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়।
অর্থাৎ এ বছর সৌদি আরবে ১৬ জুন উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। তার পরের দিনই বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম, ওয়াকফ প্রশাসক মো. গোলাম কবীর (অতিরিক্ত সচিব), তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত-সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো. মামুন, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমীন, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রুহুল আমিন, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।