সোমবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি। এর আগে রবিবার (২৮ জুলাই) কোস্ট গার্ডদের সেন্টমার্টিন স্টেশন কমান্ডার লে. কর্নেল অনিক মাহমুদ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তিনি জানান, মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয়েছে সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল বাতেনকে। তিনি পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ জুলাই সেন্টমার্টিনের ট্রলার ডুবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোস্ট গার্ড ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় কোস্ট গার্ডের স্টেশন কমান্ডারসহ ৫ জন আহত হন। এ সময় বেশকিছু সরকারি মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ঘটনায় দ্বীপের দক্ষিণ পাড়ার ফয়সালকে ১ নং আসামি করে সেন্টমার্টিন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ’কে ২ নং আসামি এবং সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমানকে ৩ নং আসামি করে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩০০/৩৫০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে মামলাটি দায়ের করে কোস্ট গার্ড।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, গেলো বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে টেকনাফ থেকে নিত্যপণ্য ও যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপ যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় এফবি সাদ্দাম নামে ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৬ জনকে উদ্ধার হয়।
পানিতে হারিয়ে যান নুর মোহাম্মদ সৈকত নামে একজন কলেজ ছাত্র। তাকে উদ্ধার অভিযানে গিয়ে নিখোঁজ হন মো. ফাহাদ ও মো. ঈসমাইল। তাদের ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি নিয়ে দ্বীপবাসীর সঙ্গে কোস্টগার্ডের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় কোস্ট গার্ড বাদী হয়ে দ্বীপের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।